বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি, টিকায় নিম্নগতি

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২১ ২০:৫৭

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ৫০ হাজার ৭৫২ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক ৫ হাজার ৩৫৮ জন। মারা গেছেন ৫২ জন। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যাও ৯ হাজার পার হয়ে গেল। শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ গত ১০ দিনে বাড়লেও ধীরে ধীরে কমছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। শুরুর দিকে এক দিনে ১ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। এ মাসের মাঝমাঝি এটি বেড়ে ২ লাখ হলেও, এখন তা কমতে কমতে ৫০ হাজারে এসে ঠেকেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ৫০ হাজার ৭৫২ জন। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক ৫ হাজার ৩৫৮ জন। মারা গেছেন ৫২ জন। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯ হাজার পার হয়ে গেল। শনাক্তের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়েছে।

টানা তিন দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ হাজারের ওপরে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলেও টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে না। টিকাগ্রহীতা এবং নিবন্ধনের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ হাজারেরও কম মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।

করোনা পরিস্থিতি অবশ্য বিশ্বজুড়েই খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যে ১২ কোটি ৮৩ লাখ পার হয়ে গেছে। মারা গেছেন ২৮ লাখ ৫ হাজার মানুষ। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশ ৪৩তম এবং মৃতের সংখ্যায় ৪০তম অবস্থানে রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবার সন্ধ্যায় দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণটিকা দেয়া শুরুর পর ৪৭ দিনে টিকা নিয়েছেন ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৩১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৮ জন এবং নারী ২০ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনসহ মোট ৯৩৩ জন টিকাগ্রহীতার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে মাত্রা খুবই মৃদু। কারও সামান্য জ্বর কিংবা বমি হয়েছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৬৮ লাখ ২ হাজার ৪৪২ জন। এ ছাড়া ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা নেন আরও ৫৬৭ জন।

রাজধানীতে ৪৭টি এবং রাজধানীর বাইরে ৯৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলছে।

গত এক দিনে জেলাভিত্তিক সবচেয়ে বেশি টিকা দেয়া হয় ঢাকায়, ৭ হাজার ৮৫৬ জনকে। সবচেয়ে কম ফরিদপুরে, ১০ জনকে।

ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১৩ হাজার ৫২৮ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৯ হাজার ১৯৪ জনকে। কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

রাজশাহী বিভাগে টিকা নিয়েছেন ৮ হাজার ২৩৬ জন। এই বিভাগে একজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দেখা গেছে। খুলনা বিভাগে ৮ হাজার ৫০ জনের মধ্যে একজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বরিশালে টিকা দেয়া হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ জনকে। এই বিভাগেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৪১৯ জন টিকাগ্রহীতার মধ্যে কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

রংপুরে ৫ হাজার ৩৭৪ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৬৫২ জনকে। কারও মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর