২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যারা করোনার নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৪২ জনের শরীরে সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। শনাক্তের হিসাবে এটা এখন পর্যন্ত দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে মঙ্গলবার দেশে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১৮১ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৫ জনের। এর আগে সোমবারও ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২২৪টি ল্যাবে ২৬ হাজার ৬২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৪।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৬২ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৮০ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ২৮ পুরুষ ও ১৭ জন নারী আছেন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। বিশোর্ধ্ব দুই, ত্রিশোর্ধ্ব দুই, চল্লিশোর্ধ্ব সাত, পঞ্চাশোর্ধ্ব আট ও ষাটোর্ধ্ব ২৫ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে তিন, রাজশাহীতে দুই, খুলনায় দুই, সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।