বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: ডব্লিউএইচওর সন্দেহে হিমায়িত খাদ্যও

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২১ ১৩:২৩

করোনার উৎপত্তি নিয়ে ডব্লিউএইচওর খসড়া প্রতিবেদনে চারটি উৎসের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

করোনাভাইরাস প্রাণীদেহ নাকি ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। প্রাণী থেকেই করোনা ছড়িয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। কোনো কোনো প্রতিবেদনে আবার ল্যাবকেও দায়ী করা হয়েছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞ দল এই উৎসগুলোর কোনোটিকেই নাকচ করেনি। এর সঙ্গে তারা করোনার সম্ভাব্য আরও একটি উৎস যোগ করেছে।

করোনার উৎপত্তি নিয়ে ডব্লিউএইচওর খসড়া প্রতিবেদনে চারটি উৎসের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

ভাইরাসের উৎস নিয়ে ডব্লিউএইচওর আন্তর্জাতিক গবেষণা দলের অনুসন্ধান প্রতিবেদন মঙ্গলবার প্রকাশের কথা রয়েছে। তবে আগের দিন সোমবার প্রতিবেদনের খসড়া সংস্করণ সিএনএনের হাতে আসে।

এতে বলা হয়, ২০১৯ সালের শেষ দিককার সময়ের আগেই করোনা ছড়ায়, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যবর্তী প্রাণী বাহকের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। মধ্যবর্তী প্রাণী বাহকের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বন্য কোনো প্রাণী ধরে এনে তাকে পরে খামারে পালা হলে তার থেকে করোনা ছড়াতে পারে।

বাদুড় থেকে অন্য প্রাণীর মাধ্যমে করোনা মানবদেহে ছড়ায় বলে বহুল প্রচলিত ধারণা রয়েছে। তবে বাদুড় থেকে অন্য প্রাণীর দেহে করোনার সংক্রমণ হয়, এমনটি পায়নি ডব্লিউএইচও।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্স-কোভ-২-এর সম্ভাব্য মধ্যবর্তী বাহক কে, তা জানা দুরূহ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী সম্ভাব্য আরেকটি সূত্র হতে পারে বাদুড় বা বনরুই। ভাইরাস বহনকারী হিসেবে পরিচিত এসব প্রাণী থেকে সরাসরি সংক্রমণ হতে পারে।

এ ছাড়া হিমায়িতবা ঠান্ডা খাবার থেকে করোনা ছড়াতে পারে। তবে ল্যাবে দুর্ঘটনা থেকে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে ক্ষীণ।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সাবেক পরিচালক ড. রবার্ট রেডফিল্ড সিএনএনকে বলেন, ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়ায়, এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত।

তবে রেডফিল্ডের বক্তব্যকে খারিজ করেছে ডব্লিউএইচও। সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এর সম্ভাবনা একেবারেই কম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের আগে কোনো ল্যাবে সার্স-কোভ-২-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাইরাসের উপস্থিতির রেকর্ড নেই।

‘কয়েকটি জিনোম একসঙ্গে মিলে সার্স-কোভ-২ জিনোম তৈরি হতে পারে, এমনও কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। সব দিক বিবেচনায়, করোনা মহামারির উৎস ল্যাবে, এমন ধারণার সত্যতা তেমন একটা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর