ফাইজার ও মডার্না উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজই ব্যাপক কার্যকর বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
করোনার টিকা নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবাকর্মী ও টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রথম দিককার তথ্যদাতাদের উপাত্তের ভিত্তিতে গবেষণাটি চালায় যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
স্থানীয় সময় সোমবার গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, টিকার দুটি ডোজের মধ্যে প্রথমটি দেয়ার দুই সপ্তাহ বা তারও বেশি সময়ের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমে যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর সংক্রমণের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমে যায় বলে জানান গবেষণায় অংশ নেয়া প্রায় চার হাজার মানুষ।
গবেষণায় করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ফাইজার ও মডার্নার টিকার সক্ষমতা পর্যালোচনা করে সিডিসি। এতে উপসর্গ নেই এমন সংক্রমণও মূল্যায়ন করা হয়।
এর আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করোনাজনিত অসুস্থতা রোধে টিকার কার্যকারিতা পর্যালোচনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্না।
সিডিসির গবেষণা নিয়ে সংস্থাটির পরিচালক রশেল ওয়েলেন্সকি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গবেষণায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আমাদের জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি কাজ করছে।’
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৩ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি অঙ্গরাজ্যে ১৩ সপ্তাহ ধরে ৩ হাজার ৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর মডার্না ও ফাইজারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা করে সিডিসি।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৭৪ শতাংশ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন। টিকাগ্রহীতাদের উপসর্গ ছাড়া সংক্রমণ হচ্ছে কি না, তা প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষা করা হয়।
সিডিসির কর্মকর্তা ওয়েলেন্সকি বলেন, ‘অনুমোদনপ্রাপ্ত করোনার টিকা দুটি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, প্রথম দিকের তথ্যদাতাসহ অন্যান্য সম্মুখসারির কর্মীদের সংক্রমণ থেকে দ্রুত, প্রকৃত সুরক্ষা দিতে সক্ষম হয়েছে।’
সপ্তাহ খানেক আগে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রকৃত কার্যকারিতার তথ্য প্রকাশ করেছিল ইসরায়েল। এতে বলা হয়, উপসর্গহীন সংক্রমণ রোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ৯৪ শতাংশ কার্যকর।