২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তে রেকর্ড হয়েছে দেশে। রোববার সকাল আটটা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত যারা ভাইরাসটি পরীক্ষা করিয়েছেন তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে।
এর আগে গত ২ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১৯ জনের মধ্যে সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৪৫ জনের। গত ২৮ আগস্ট এর থেকে বেশি মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৭ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২২৪টি ল্যাবে ২৮ হাজার ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬৫। মোট রোগী শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৭ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ৩০ পুরুষ ও ১৫ জন নারী। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব পাঁচজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন ও ষাটোর্ধ্ব ২৭ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ছয়, রাজশাহীতে পাঁচ, খুলনায় তিন, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে এক জন করে মারা গেছেন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিধিনিষেধ দিয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার। ফাইল ছবি
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।
করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ থাকা এলাকায় জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সই করা প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনার উচ্চ সংক্রমণ থাকা এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সীমিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ অন্যান্য সমাগম।
বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।