গত এক মাসে সংক্রমণ বাড়লেও আস্তে আস্তে কমছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। শুরুর দিকে এক দিনে ১ লাখের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছে। এই মাসের মাঝমাঝি সময়ে এটি বেড়ে ২ লাখ হলেও, সেটি কমতে কমতে ৫৮ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গণটিকা দেয়া শুরুর ৪৪ দিনে টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৯২৮ জনের শরীরে। টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন ৬৬ লাখের বেশি মানুষ।
রোবাবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, রোববার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ৫৮ হাজার ৪২৪ জন। সব মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন ৫২ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৭ জন এবং নারী ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫১ জন। এ ছাড়া ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা নেন আরও ৫৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনসহ ৯২৮ জন টিকাগ্রহীতার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে মাত্রা খুবই মৃদু। কারও সামান্য জ্বর কিংবা বমি হয়েছে।
রাজধানীতে ৪৩টি এবং রাজধানীর বাইরে ৯৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৭ জন।
গত এক দিনে জেলাভিত্তিক সবচেয়ে বেশি টিকা দেয়া হয় ঢাকায়, ৬ হাজার ৮৩৭ জনকে। সবচেয়ে কম বান্দরবানে, ১১৪ জনকে।
ঢাকা বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১৬ হাজার ২৩ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর একজনের শরীরেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৭ হাজার ৫৮৬ জনকে। কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
রাজশাহী বিভাগে টিকা নিয়েছেন ৮ হাজার ৯৬৭ জন। এই বিভাগেও কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি। খুলনা বিভাগে ৮ হাজার ৯৬৭ জনের মধ্যে কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
বরিশালে টিকা দেয়া হয়েছে ১ হাজার ১৯০ জনকে। এই বিভাগেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ১৩০ জন টিকাগ্রহীতার মধ্যে কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
রংপুরে ৭ হাজার ৭৪২ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে চার হাজার ৭২৪ জনকে। এর মধ্যে ১ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।