বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশি ওষুধের নকল: অ্যাস্ট্রেন হেলথ কেয়ার সিলগালা

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২১ ২০:৫৪

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র জানান, প্রতিষ্ঠানের মালিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযানের সময় গুদাম থেকে আনুমানিক প্রায় ২ কোটি টাকা সমমূল্যের নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।

বিদেশি কোম্পানির ওষুধ নকল, উৎপাদন ও বাজারজাত করার অভিযোগে অ্যাস্ট্রেন হেলথ কেয়ার নামে একটি কোম্পানির গুদাম সিলগালা করে দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক আইয়ুব হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় প্রতিষ্ঠানের মালিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ‘অভিযানের সময় গুদাম থেকে আনুমানিক প্রায় ২ কোটি টাকা সমমূল্যের নকল ওষুধ জব্দ করা হয়।’ এমনটি জানান আইয়ুব হোসেন।

রোববার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীতে ওষুধ কোম্পানিটির গুদামে অভিযান শুরু করা হয়। চার ঘণ্টা অভিযান শেষে

এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তিনি বলেন, অভিযানের পর দেখা গেছে, ২০১৩ সালে আমদানি করা বিভিন্ন কাঁচামাল ও পণ্য গুদামে পড়ে রয়েছে। ওষুধ তৈরির মেশিনও জব্দ করা হয়। প্রশাসন থেকে অনুমোদন না থাকায় রাতের আঁধারেই তৈরি করা হতো ওষুধ। এ কাজে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে সহায়তা করেছেন তার স্ত্রী।

জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন আমরা এ চক্রকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। সত্যতা পাওয়ার পর রোববার র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‍্যাব) গোয়েন্দা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এখানে অধিকাংশ ওষুধেরই বাংলাদেশে আমদানির বৈধতা নেই। তাও আবার নিজেরা তৈরি করে বিদেশি বলে বাজারে চালিয়ে দিচ্ছে। এমন সব নকল ওষুধ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার হবে।’

জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়েক বস্তা বিভিন্ন কাঁচামাল, মেগা প্লাস-৩, এক্স-ভি, স্টে-অন, হোয়াইট কোড সিনেম, অ্যাস্টন লেজার, অ্যামিনো-১৮সহ বিভিন্ন যৌন উত্তেজক নকল ওষুধ যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর বেশির ভাগ ইউনানীভিত্তিক ওষুধ যেগুলো বিভিন্ন দেশের নামীদামি কোম্পানিতে তৈরি হয়ে থাকে। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ গ্যাস্ট্রিক, ক্যালসিয়াম, মশা মারার ওষুধসহ নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধ, যেগুলোর আমদানির অনুমোদনও নেই, এরা সেসব নিজেরাই তৈরি করে আসছেন।’

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষের উন্নত জীবনযাত্রায় ফুড সাপ্লিমেন্ট ও যৌন উত্তেজক ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে রাতের আঁধারে সর্দি-কাশির ওষুধ তৈরির আড়ালে এসব অবৈধ পণ্য তৈরি করে আসছে।’

এখানে জব্দকৃত প্রতিটি পণ্য ২০১৩ সালের কেনা, যার মেয়াদ অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। তারা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমনসব নকল ওষুধ তৈরি করে আমেরিকা, কানাডা ও ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে বলে মিথ্যাচার করছে। যা ভয়াবহ প্রতারণা। আমরা এদের ধরতে সফল হয়েছি। প্রায় ২ কোটি টাকার নকল ওষুধ জব্দ করেছি। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর