ভারত সরকারের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী উপহারের টিকার আরও ১২ লাখ ডোজ দেশে এসেছে।
টিকা বহনকারী বিশেষ বিমানটি শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে টিকা বহনকারী বিমান ঢাকায় আসার কথা থাকলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে আসার কারণে টিকাবাহী বিমান সোয়া ১টায় আসে।
বিমানবন্দর থেকে টিকার ডোজগুলো তেজগাঁওয়ের সিএমএসডি কার্যালয়ে নেয়ার কথা রয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ২০ লাখ ডোজ টিকা ভারত উপহার হিসেবে দিয়েছিল বাংলাদেশকে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে পৌঁছান সকাল সাড়ে ১০টার দিকে।
টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘এটা উপহার হিসেবে আসছে। আমাদের কেনা যে টিকা, এর সঙ্গে এই টিকার কোনো সম্পর্ক নাই।’
বাংলাদেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তাতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫১ লাখেরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।
সরকার ভারতের সিরাম থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা কিনেছে। এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ দেশে পৌঁছেছে। আর ভারত সরকার উপহার হিসেবে দুই দফায় দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ টিকা।
সব মিলিয়ে দেশে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে ৫১ লাখ দিয়ে দেয়ায় সরকারের হাতে রয়েছে ৫২ লাখ ডোজ।
ফেব্রুয়ারিতে যাদের টিকা দেয়া হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে ৮ এপ্রিল থেকে।
এর বাইরে প্রতিদিন ৭০ হাজার থেকে দেড় লাখ মানুষ টিকা নিচ্ছে। ফলে আগামী ৮ এপ্রিলের আগেই প্রথম ডোজের আরও ১০ লাখ টিকা ফুরিয়ে যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রাখতে হতে পারে।