করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সম্ভাব্য সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীর পাঁচটি সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রস্তুত থাকতে বলা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রাজধানী মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, বাবুবাজারের ঢাকা মহানগর হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও ফুলবাড়িয়ার সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল।
সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি নীতিমালা বলছে, বাংলাদেশে আসলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিমালা অনুযায়ী টানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণ পরীক্ষার বিবেচনায় ৫ শতাংশের নিচে হলে করোনা নিয়ন্ত্রণে ধরা যায়। বাংলাদেশে টানা আট সপ্তাহের বেশি সংক্রমণ এর নিচে ছিল। নিয়ন্ত্রণে আসার পর টানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণ ৫ শতাংশের বেশি হলে দ্বিতীয় ঢেউ ধরা যায়। বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি ১৬ দিন ধরে দেখা যাচ্ছে।
করনোভাইরাসের সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ছুটি বা ‘অঘোষিত লকডাউন’ সরকারের বিভিন্ন মহলে আলাপ-আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে সরকার থেকে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শেষে।
ইতিমধ্যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মোট ১২টি সুপারিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবন-জীবিকা, অর্থনীতি- সব বিবেচনায় রেখে এই মুহূর্তে লকডাউনে যাওয়া সম্ভব নয়।
সাধারণ ছুটির ঘোষণা আসতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিবও।