দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৮০৯ জনের শরীরে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৭ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৭২০ জনের।
করোনায় এর আগে গত ৭ জানুয়ারি এর থেকে বেশি মৃত্যু হয়। সেদিন ৩১ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় ২০ আগস্ট, দুই হাজার ৮৬৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় দেশের ২১৯টি ল্যাবে ২৫ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯। মোট রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
গত একদিনে ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৪৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ১৫৯ জন। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ পুরুষ ও ৫ জন নারী আছেন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন ও ষাটোর্ধ্ব ২০ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে একজন ও সিলেট বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।