করোনা প্রতিরোধী টিকার দুটি ডোজ নেয়ার এক মাস পর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন চীনের এক স্বাস্থ্যকর্মী।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র দ্য পিপলস ডেইলির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে টিকার প্রথম ডোজ এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ নেন লিউ নামের ওই স্বাস্থ্যকর্মী।
৪ মার্চ থেকে তিনি দেশটির শাঞ্জি প্রদেশের জিয়ান শহরের একটি হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন এলাকায় কর্মরত ছিলেন। তার কাজ ছিল রোগীদের করোনা শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ করা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে দ্য পিপলস ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে কাজ করার সময় দুর্ঘটনাবশত বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করেন তিনি। এরপরই সংক্রামক ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন ওই স্বাস্থ্যকর্মী।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারির পর চীনে স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনা এটি।
এ বিষয়ে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের সাবেক প্রধান রোগতত্ত্ববিদ জেং গুয়াং জানান, টিকা নিলেও করোনাভাইরাস থেকে শতভাগ সুরক্ষার নিশ্চয়তা নেই। এটা কেবল তুলনামূলক বেশি সুরক্ষা দেবে।
তবে এ জন্য দেশে উদ্ভাবিত টিকার ওপর ভরসা হারালে চলবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দ্য পিপলস ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে কোন টিকা দেয়া হয়েছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের উদ্ভাবিত পরীক্ষামূলক কোনো টিকাই নিয়েছিলেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে করোনা প্রতিরোধী ৭৮টি টিকা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে ২২টিই পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছেছে। প্রাণিদেহে পরীক্ষা চলছে আরও প্রায় ৭৭ টিকার। এসব টিকার বেশ কয়েকটি উদ্ভাবন করেছে চীন।
রোগতত্ত্ববিদ জেং গুয়াংয়ের দাবি, করোনা প্রতিরোধে এ পর্যন্ত যতোগুলো টিকা উদ্ভাবিত হয়েছে, সম্মিলিতভাবে সেগুলোর কার্যকারিতার হার ৭০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে চীনে অভ্যন্তরীণভাবে উদ্ভাবিত টিকায় করোনা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতের হার ৯০ শতাংশের বেশি।
তিনি বলেন, হাসপাতাল উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় টিকা নিলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা থেকে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন এমন আশা না করাই ভালো।