বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাস্থ্যের ডিজির করোনা: কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের তাগিদ

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২১ ১৭:৫৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানের কারও শরীরে করোনা শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আলাদা করে দিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমেরসহ সংস্থাটির পাঁচ থেকে সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে। এমন বাস্তবতায় অধিদপ্তরের অন্য কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিজির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন পার হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবাই সশরীরে অফিস করছেন।

করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যরা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানের কারও শরীরে করোনা শনাক্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আলাদা করে দিতে হবে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন বা আক্রান্ত সন্দেহ করা হচ্ছে, এমন কারও সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। এ ছাড়া কার্যালয়ের প্রত্যেক ব্যক্তিকে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে।

এসব পরামর্শ উপেক্ষা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীই সশরীরে অফিস করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জানার পর অনেকের মধ্যে ভয় কাজ করছে। কিন্তু তাও সবাই অফিসে আসছেন এবং নিজ নিজ দপ্তরে কাজ করছেন।

অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (পিএসএসএম-এইচএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অন্যান্য সাধারণ সময়ের মতোই অফিসে এসে কাজ করছি। কারণ হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশনা পাইনি। তবে এমন পরিস্থিতিতে হোম অফিসের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো।’

লাইন ডিরেক্টর (সিবিএইচসি) ডা. কাজী হেফায়াত হোসেন বলেন, ‘অধিদপ্তরের ডিজি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনেছি। মনে শঙ্কা নিয়েই অফিস করছি। এমন পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করলে ভালো হয়।’

ডিজিসহ পাঁচ থেকে সাতজন সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হয় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাকে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কি বন্ধ রাখতে বলছেন? আমি নিজেও অফিস করছি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যর্থতা মহামারি পরিস্থিতিকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করবে বলে মনে করেন করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবাই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। যেহেতু ডিজিসহ কিছু কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত, তাদেরসহ দপ্তরের সবার হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা উচিত। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনই ১৫ দিন করার কথা। সেখানে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত না করতে পারলে সংক্রমণ বাড়বে। এ ছাড়া অধিদপ্তরের প্রত্যেক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।

গত বছরের ১৭ এপ্রিল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) চার কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ কারণে সে সময় প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ আট কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

মীরজাদী বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর