করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সঙ্গে, করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে দেশবাসীকে স্বাস্থ্য বিষয়ক গাইডলাইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার টিকা নেন ইমরান। আগের দিন টিকা নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী। তবে তারা কোন ব্র্যান্ডের টিকা নিয়েছেন এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
পাকিস্তান জুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকা কর্মসূচি চলছে। উপমহাদেশের বেশির ভাগ দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতে উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ টিকার প্রয়োগ চললেও পাকিস্তান চলছে চীনের উৎপাদিত সিনোভ্যাক টিকা। এই টিকার ৫ লাখ ডোজ ইসলামাবাদকে উপহারও দিয়েছে চীন।
যাদের বয়স ৬০ বা তার বেশি এবং যারা করোনা মোকাবিলায় সামনের সারির কর্মী পাকিস্তান সরকার আপাতত তাদেরকেই প্রথম ধাপের টিকা প্রয়োগের আওতায় আনছে।
পাকিস্তানে টিকা প্রদানের হার অনেকটাই ধীর গতিতে এগুচ্ছে। পর্যাপ্ত টিকার পাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেনি তারা। চীনের সিনোফার্মের টিকার পাশাপাশি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও রাশিয়ার স্পুতনিক টিকার প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান।
ভারত, বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানেও করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। এটাকে করোনার তৃতীয় ঢেউ হিসেবে দেখছে দেশটির সরকার। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য বিষয়ক গাইডলাইন মানতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘কোভিড শনাক্ত আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি ও গুরুতর অসুস্থতার সংখ্যা বেড়েছে। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা না বাড়লে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে নতুন করে তিন হাজার ৪৯৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে মোট শনাক্ত ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ৭ হাজার। আর নতুন ৬১ জনসহ আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার সাতশ।