টাইপ টু ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সপ্তাহে মাত্র একবার ব্যবহার উপযোগী ইনজেকশন বাজারে এনেছে নভো নরডিস্ক।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই ওষুধ সিমাগ্লুটাইড ইনজেকশন বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ডায়াবেটিসের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নভো নরডিস্ক।
সংবাদ সম্মলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের প্রতিটি ফার্মেসিতে এ ইনজেকশন পাওয়া যাবে। প্রতিটি ইনজেকশনের বাজারমূল্য ১৪ হাজার ২৫৯ টাকা। একটি ইনজেকশন চার সপ্তাহ ব্যবহার করা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় পরিমিত খাদ্য এবং নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি সিমাগ্লুটাইড ইনজেকশন অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে অথবা আলাদা গ্রহণ করা যাবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেন, সপ্তাহে একবার ‘সিমাগ্লুটাইড’ ইনজেকশনের ব্যবহার রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, শরীরের ওজন কমানো ও হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে যা ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের চিকিৎসায় এক অনন্য সংযোজন।
নভো নরডিস্কের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জয় থায়াগারাজন বলেন, ক্লিনিক্যাল ডাটা (সাসটেইন ট্রায়াল) অনুযায়ী, সিমটাইড উল্লেখযোগ্য হারে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওজন কমায় যা ৮০ ভাগ রোগীকে চিকিৎসার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা দেয়।
টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ১০ হাজার রোগীর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর বাংলাদেশের বাজারে সিমাগ্লুটাইড আনা হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন বলেন, ডায়াবেটিস রোগের জন্য গবেষণামূলক ও উদ্ভাবনী ওষুধ আনতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে নভো নরডিস্ক এবং ভবিষ্যতেও এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
২০১২ সাল থেকেই নভো নরডিস্কের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে হিউম্যান ইনসুলিন উৎপাদন করছে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস। ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে নভো নরডিস্কের একমাত্র পরিবেশক।
অনুষ্ঠানে নভো নরডিস্কের ডিরেক্টর মেডিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটি ডা. মাহবুবুর রহমান, ডিরেক্টর বিজনেস ইউনিট জিএলপি-ওয়ান অ্যান্ড ওবেসিটি কামাল হোসেন পলক এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার গাজী তাওহীদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।