ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে মঙ্গলবার সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। এর ঠিক পরদিনই বুধবার দেশটিতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার করোনায় ২ হাজার ৬৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দিন রেকর্ড ৯০ হাজার ৩০৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
মঙ্গলবার ব্রাজিলে করোনায় ২ হাজার ৮৪১ জনের মৃত্যু হয়, যা এক দিনে মৃত্যুর দিক থেকে সর্বোচ্চ।
ব্রাজিলে করোনায় বুধবার পর্যন্ত ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই আছে ব্রাজিল।
অবস্থান পালটালেন বলসোনারো
করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ চাপের মুখে আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারো। তার বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে দিনের পর দিন।
করোনা-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মাস্ক পরাসহ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা এত দিন তোয়াক্কা করেননি বলসোনারো। তবে দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকা ও জনরোষের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে হার মেনেছেন তিনি। নিয়েছেন উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চলতি সপ্তাহের শুরুতে কট্টর ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট বলসোনারো নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মারসেলো কোয়েরোগাকে নিয়োগ দেন।
এর আগে জেনারেল এদুয়ার্দো পাজুয়েলো দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। চিকিৎসা-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে সমালোচিত ছিলেন তিনি।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রাজিল আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বলসোনারো।
গত বছর মাস্ক না পরে, শারীরিক দূরত্ব না মেনে সমাবেশে হাজির হন বলসোনারো। ছবি: এএফপি
বুধবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সুর মেলান সদ্য নিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোয়েরোগা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বলসোনারো তাকে করোনাবিষয়ক নীতি নিয়ে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
কোয়েরোগা বলেন, ‘আমরা দুইভাবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করেছি। একটি শারীরিক দূরত্ব নীতি ও অন্যটি হাসপাতালের ধারণক্ষমতা বাড়ানো। আমরা গবেষণা ও বিজ্ঞানে বিশ্বাসী।’