বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহামারিতে স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক শিশুমৃত্যু

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২১ ১৮:৫৯

বাংলাদেশ ও নেপালে এ সময়ে গুরুতর অপুষ্টির চিকিৎসা নেয়া শিশুর হার স্বাভাবিকের তুলনায় ৮০ শতাংশ কম ছিল। অন্যদিকে ভারত ও পাকিস্তানে শিশুদের টিকা নেয়ার হার কমেছে যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ শতাংশ।

করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতের ভগ্নদশায় বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাণ গেছে ২ লাখ ২৮ হাজার শিশুর। মাতৃমৃত্যুসহ এ সময়ে মোট প্রাণহানি ২ লাখ ৩৯ হাজার। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

‘ডাইরেক্ট অ্যান্ড ইনডাইরেক্ট ইফেক্টস অফ কোভিড নাইনটিন প্যানডেমিক অ্যান্ড রেসপন্স ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে শিশুমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ছিল ভারতে, ১৫.৪ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে এ হার ছিল ১৩ শতাংশ।

অন্যদিকে মাতৃমৃত্যুতে শীর্ষে ছিল শ্রীলঙ্কা, হার ২১.৫ শতাংশ; দ্বিতীয় অবস্থানে পাকিস্তান, হার ২১.৩ শতাংশ।

বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনে মূলত আলোকপাত করা হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর। ১৮০ কোটি মানুষের বাস এই দেশগুলোতে। দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ; প্রাণহানি হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কর্মসূচি ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নারী, শিশু ও নবজাতকরা।

দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের সব অঞ্চলই গত এক বছর কঠোর লকডাউনে বিচ্ছিন্নপ্রায় ছিল। হাসপাতাল, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব ধরনের প্রতিষ্ঠানই বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন।

করোনাকালে দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণ করেছে জাতিসংঘ। খতিয়ে দেখা হয়েছে, অর্থনীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে লকডাউনের প্রভাব ঠেকাতে বিভিন্ন দেশে সরকারের গৃহীত কৌশলের সাফল্য।

দেখা গেছে, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ছয় দেশে পাঁচ বছরের কমবয়সী ২ লাখ ২৮ হাজার অতিরিক্ত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাওয়ানো থেকে শুরু করে নানা রোগের টিকা দান কার্যক্রমসহ বিভিন্ন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে; অনেক স্থানেই পুরোপুরি থমকে গিয়েছিল এসব কার্যক্রম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও নেপালে এ সময়ে গুরুতর অপুষ্টির চিকিৎসা নেয়া শিশুর হার স্বাভাবিকের তুলনায় ৮০ শতাংশ কম ছিল। অন্যদিকে ভারত ও পাকিস্তানে শিশুদের টিকা নেয়ার হার কমেছে যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ শতাংশ।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মহামারিকালে ৩৫ লাখ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বাদের মধ্যে ৪ লাখই কিশোরী।

এ ছাড়া চিকিৎসা বিঘ্নিত হওয়ায় করোনা ছাড়া অন্যান্য রোগে মৃত্যুর তথ্যও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। বলা হয় যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড ও এইচআইভি/এইডসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় করোনাকালে প্রায় ৬ হাজার বেশি মানুষ মারা গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর