দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। আর টানা পঞ্চম দিন শনাক্ত হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্তের হার ছাড়িয়েছে সাত।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত এক দিনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ১৫৯ জনের শরীরে। মোট শনাক্তসংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জন।
এর মধ্যে নতুন ১৮ জন নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৪৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ২০৬টি। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭.১৭ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩.০৭ শতাংশ।
টানা পাঁচ দিন দেশে এক হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪ জনের দেহে। গত শুক্রবার করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে। এর আগে বৃহস্পতিবার শনাক্ত ছিল ১ হাজার ৫১ জন। তারও আগে বুধবার ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৮ জনের দেহে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৩৮৫ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জন। সুস্থতার হার ৯১.৮০, সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৫৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে ১২ পুরুষ, ৬ নারী আছেন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে দশোর্ধ্ব এক, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচ ও ষাটোর্ধ্ব ১২ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ১০, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ২, বরিশালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়।
এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের ১৩তম মাস চলছে।
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনে বড় বিপদ
স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সামনে বড় বিপদ এমন আশঙ্কা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘গেল দুই মাস আমরা স্বস্তিতে ছিলাম, তাই এখন আমরা কোনো কিছু মানছি না। সামনের দিকে আমরা আরও বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছি যদি আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানি।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রশাসনসহ সিভিল সার্জন অফিসগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সারা দেশে আইসিইউগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। বিকেলে সিভিল সার্জনদের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে নতুন নির্দেশনার বিষয়টি তোলা হবে।’