দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই তরুণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
তিনি বলেছেন, তাদের বেশির ভাগেরই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) লাগছে।
রাজধানীর শ্যামলীতে রোববার সকালে টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ টিবি সেন্টারের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা জানান।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে তরুণ ও যুবকদের আক্রান্ত হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
‘এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যুবকদের নিয়ম না মানার প্রবণতা। এ ছাড়াও রয়েছে পেশাসহ নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে যাওয়া, ধূমপানে আসক্তি।’
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘গেল দুই মাস আমরা স্বস্তিতে ছিলাম, তাই এখন আমরা কোনো কিছু মানছি না। সামনের দিকে আমরা আরও বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছি যদি আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মানি।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রশাসনসহ সিভিল সার্জন অফিসগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সারা দেশে আইসিইউগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। বিকেলে সিভিল সার্জনদের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে নতুন নির্দেশনার বিষয়টি তোলা হবে।’
টানা চার দিন দেশে এক হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪ জনের দেহে।
গত শুক্রবার করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে। এর আগে বৃহস্পতিবার শনাক্ত ছিল ১ হাজার ৫১ জন। তারও আগে বুধবার ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৮ জনের দেহে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫২৭ জনে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। শনিবার পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জনের দেহে।
শিগগিরই করোনা টিকার তৃতীয় চালান আসছে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, ‘গত রাতেও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই টিকার তৃতীয় চালান দেশে আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন।’
যুক্তরাজ্য ও আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, জিনোমা সিকোয়েন্সের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খুরশীদ আলম বলেন, টিকা নেয়া মানে স্বাস্থবিধি না মানা নয়। কারণ, প্রথম ডোজ নেয়ার পর প্রতিরোধক্ষমতা সেভাবে তৈরি হয় না। আবার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পরও প্রতিরোধক্ষমতা কত দিন থাকবে তা-ও কেউ জানেন না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।