আগামী জুন মাসের মধ্যে বৈশ্বিক কর্মসূচি কোভ্যাক্সের আওতায় ১ কোটি ৯ লাখ ডোজ টিকা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে বৃহস্পতিবার দেশের ৭০টি উপজেলা কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা জানান।
ওই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাভাইরাসের টিকার সমপ্রাপ্তির বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে ইউনিসেফ, গ্যাভি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সিইপিআইয়ের মতো সংস্থা ও জোটগুলো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকার দ্বিতীয় চালান এই মাসে আসতে পারে।
তিনি বলেন, বেপরোয়া চলাফেরা, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। সমাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এক হাজার ১৮ জনের দেহে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন।
শনাক্তের এ সংখ্যা ৫৯ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত ১০ জানুয়ারি এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়। সেদিন শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৭১ জন।
এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশে করোনা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি আছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানসহ সামাজিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে করার আহ্বান জানান।
টিকার জন্য ৫৩ লাখেরও বেশি নিবন্ধন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আনন্দের বিষয় হলো, যত মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। কোনো জায়গায় কোনো অঘটন ঘটেনি।’
সরকার এখন যে টিকা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যা দেবে, তা পুরোটাই বিনা মূল্যে থাকবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী এবং আবাসিক ছাত্রদের টিকা দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে। এর আগেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের টিকা দেয়া হবে।
বয়সসীমা ৪০ নির্ধারণ করার কারণে দেশের ৪ কোটি লোককে টিকা দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে, এ পর্যন্ত ভালোই আছে। এই ভালোটা বজায় রাখতে চাই।
‘টিকা যদি আমাদের হাতে বেশি আসে, সব শিডিউল ঠিক থাকে, তাহলে হয়তো বয়সের বিষয়ে চিন্তা করতে পারব।’