বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকাদানে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১১ মার্চ, ২০২১ ১১:৪৬

টিকাদান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা কিন্তু কখনো করবেন না। আগেও বিশৃঙ্খলা হয়নি।’

করোনাভাইরাসের টিকাদান নিয়ে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের পাঁচ বিভাগের ২০ জেলায় ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার সকালে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে আমাদের দেশের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি শুরু থেকেই। সেখানে বলব, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, হাত ধোয়া, মাস্ক পরে থাকা—এ নিয়মগুলি মানতে হবে।

‘যদিও আমরা টিকাদান শুরু করেছি। টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। তারপরেও আমি একটি কথা বলব, প্রত্যেকের নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেন্টারে যাবেন, রেজিস্ট্রেশন করবেন। করে অপেক্ষা করতে হবে। যখন সময় আসবে, ডাকবে, তখন টিকা দেবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা কিন্তু কখনো করবেন না। আগেও বিশৃঙ্খলা হয়নি। পরবর্তীতেও যেন না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ লক্ষ রাখবেন।’

‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চক্ষুসেবা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্দেশ্য হলো চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। আর তারই আলোকে এই কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

‘অন্ধজনে দেহ আলো। এর চেয়ে বড় কাজ তো হতে পারে না। আমরা সেই চিন্তা থেকেই এ পদক্ষেপ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেকেই চক্ষু সেবাটা নিতে পারে না। অন্ধত্ব তাদের জীবনটাকে একেবারে অর্থহীন করে দেয়। এ সেবার মধ্য দিয়ে আমি মনে করি তাদের চিকিৎসা সেবাটা পেলে তাদের জীবনটা অন্তত অর্থবহ হবে। এ জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ।

‘চোখের চিকিৎসা অনেক খরচ। অনেকেই এ খরচটা দিতে পারে না। কিন্তু এ দেশের নাগরিক তারা চিকিৎসা পাবে না? আমি তো শুধু প্রধানমন্ত্রী না, আমি তো জাতির পিতার কন্যা। সে হিসেবেও মনে করি এটা আমার দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্বই আমরা পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এর ফলে আজকে সবাইকেই কিন্তু বিশেষ চিকিৎসা নিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না; বরং নিজের জায়গায় থেকে বা কমিউনিটি ক্লিনিকেও সেবাটা পেতে পারেন। এখন টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থাটাও কিন্তু করে দেয়া হয়েছে, যার ফলে আজকে চিকিৎসা সেবা পাওয়াটা অনেক সহজ হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চক্ষু রোগীদের যেমন ছানিপড়া বা গ্লুকোমা, শিশুদের বিভিন্ন রোগ, পাওয়ার চশমা এগুলো সেবা সম্পূর্ণভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিন্তু দিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৯০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে প্রায় ৫ কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।

‘প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে চোখের বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উন্নত প্রশিক্ষিত দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীদের সব তথ্য প্রদান করেন। রোগীর সাথে বিশেষজ্ঞের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

‘চিকিৎসাসেবা আমরা আসলেই মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছি এবং আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রত্যকেটা উপজেলায় এই সেবাটা দেয়ার ব্যবস্থাটা আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে করে দেব। আর ইতিমধ্যে ১১০টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনের চিন্তা আছে এবং আমরা পদক্ষেপও নিচ্ছি।’

‘পঁচাত্তরে দেশের মানুষ কী হারিয়েছে ভেবে দেখুন’

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা—এ চিন্তা-চেতনা জাতির পিতার ছিল। আর এ জন্য তিনি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন।

‘দুর্ভাগ্য এ দেশের মানুষের যে সেটা তিনি সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। কারণ আপনারা জানেন পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করা হয়নি। একই সাথে আমার মা, আমার ভাই, একমাত্র চাচাসহ আমাদের পরিবারের ওই ৩২ নম্বরের বাড়িতে যারাই ছিল কেউ তো বেঁচে থাকেইনি। একই সাথে আমার মেজো ফুফু, সেজো ফুফু ও ছোট ফুফুর বাড়িতেও আক্রমণ করা হয় এবং প্রত্যেকটি পরিবারের সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

‘এ হত্যাকাণ্ডে আমরা আপনজন হারিয়েছি। কিন্তু এ দেশের মানুষ কী হারিয়েছিল, সেটা আপনারাই ভেবে দেখবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর