গত বছর সারা দেশে নানা রোগে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৫২ জন মারা গেছেন। ২০১৯ সালের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩১ হাজার ৪১২ জনের। ২০১৯ সালে ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪১ জন মারা যান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলামসহ সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জরিপে বলা হয়, এক বছরের ব্যবধানে দেশে ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত মৃত্যু দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ব্রেন স্ট্রোকের পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুও।
২০২০ সালে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ জন মারা গেছে। আগের বছর এ রোগে মারা যান ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৯ জন।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি গত বছর ৮ হাজার ২৪৮ জন মারা গেছেন করোনাভাইরাসের কারণে। এমনটি উঠে আসে জরিপে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, লিভার ক্যানসারেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৯ হাজার ৮৫০ জন। ২০১৯ সালে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ২১ হাজার ৩৭৪ জনের।
বিবিএস বলছে, এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত হয়ে গত দুই বছরে দেশে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। ২০১৯ সালে চিকুনগুনিয়ায় ৪ হাজার ৪৫৮ জনের মৃত্যু হলেও ২০২০ সালে তা কমে ৫২৪ জনে নেমে এসেছে।
ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু কমেছে। ২০১৯ সালে ম্যালেরিয়ায় ২০ হাজার ৯৮ জন মারা গেছে। গত বছর তা কমে ৬৫৫ জনে নেমে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী বলেন,জন্ম –মৃত্যুসহ দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা জানতে প্রতিবছর এ জরিপটি করা হয়। নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ফলাফলগুলো কাজে লাগবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি ।
সারা দেশে দুই হাজার ১১২টি অঞ্চল থেকে বিবিএসের নিজস্ব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে বলে জানান সচিব।
সচিব আরও বলেন, ডেঙ্গু, পোলিও, ডিপথেরিয়া, জলাতাঙ্কসহ নানা কারণে মানুষের মৃত্যু কমে আসলেও হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন কারণে মৃত্যুহার বেড়েছে।
তবে করোনায় মৃত্যুর হার কম-বেশি যাচাই করার উদ্দেশে আলাদা করে এ জরিপ করা হয়নি বলে জানান তিনি।