করোনাভাইরাসের কারণে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা ফিওক্রুজ।
রিও ডি জেনিরোভিত্তিক সংস্থাটি বলছে, ব্রাজিলের ২৫ রাজ্যে হাসপাতালগুলোর ৮০ শতাংশ আইসিইউ ইতিমধ্যে করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে আছে।
ফিওক্রুজ বলছে, পোর্তো আলেগ্রে ও ক্যাম্পো গ্র্যান্ডে শহরের আইসিইউগুলোর ধারণক্ষমতা এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে শিগগিরই অন্য শহরের আইসিইউগুলো আর খালি পাওয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে দিনে গড়ে ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে করোনায়। এই অবস্থা চলতে থাকলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। লকডাউন, মাস্কের ব্যবহার এবং গণহারে টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে করোনা মোকাবিলা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন তারা।
ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮০ লাখের বেশি মানুষ, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ।
ব্রাজিল সরকার অবশ্য এসব বিষয় খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। গত সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলসোনারো বলেন, ‘ঘ্যানঘ্যানানি বন্ধ করুন। করোনা নিয়ে আর কত কান্নাকাটি করবেন?
‘আর কতকাল আপনারা বাসায় থেকে সবকিছু বন্ধ করে রাখবেন? এটা কেউ আর নিতে পারছে না। মৃত্যুর জন্য আফসোস করছি। কিন্তু আমাদের একটা সমাধান লাগবে।’
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৮ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, আক্রান্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পর ব্রাজিলের অবস্থান। আর মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে আছে ব্রাজিল।