নাম বদলে যাচ্ছে ঢাকা শিশু হাসপাতালের। নতুন নাম হচ্ছে ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট'; এতে বাড়ানো হবে ১০০টি আসন।
মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই খসড়ায় গত বছরের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
‘শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠু পরিচালনা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং শিশু শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং উন্নত সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’
হাসপাতালটিতে বর্তমানে ১ হাজার ৩৯টি আসন রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এখানে একটা মডিফিকেশন করা হবে। বর্তমানে যে সিট আছে তার থেকে আরও ১০০ সিট ওখানে বাড়ান হবে।
‘বর্তমানে যে শিশু হাসপাতাল আছে সেটিকে হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে রূপান্তরিত করা হবে। আপাতত সেখানেই ১০০টা সিট বাড়ানো হচ্ছে।’
পরবর্তীতে আরও যদি মডিফিকেশন লাগে, কোর্স পরিচালনা বা পড়াশোনার জন্য বা শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য বা গবেষণার জন্য সেটা ডেফিনেটলি সেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান সচিব।
এই আইনের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকছে বলে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে একটি সংবিধিবদ্ধ হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
‘শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম এবং শিশুর মানসিক ও শারীরিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পরীক্ষাগার, ব্যায়ামাগার ও শিশু কর্নার থাকবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে একটা কমিটি থাকবে। এটি পরিচালনা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান হতে অধিভুক্তি গ্রহণ করে বিশেষায়িত শিশু চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা এবং মেডিক্যাল টেকনোলজি নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালনা করতে পারবে।’
এ ছাড়াও বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনার বিধানও রাখা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন
দেশের অষ্টম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কুড়িগ্রামে। এ-সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় মঙ্গলবার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এর আগে ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আইনটির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
দেশে বর্তমানে ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৪৬টি সরকারি, ১০৭টি বেসরকারি।
সকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়াল এই সভায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন তিনি। আর মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন।