সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়টাকে আরও বেশি পর্যবেক্ষণে রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আনোয়ারুল বলেন, ‘আমরা খুব কমফোর্ট জোনে আছি এটা যেন চিন্তা না করি। ইয়েস, উই আর ইন মাচ মোর বেটার কন্ডিশন দ্যান লট অফ আদার কান্ট্রিজ (হ্যাঁ আমরা অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি। দ্যাট ডাজ নট গিভ আজ দ্য সার্টেনিটি (এটা আমাদের নিশ্চয়তা দেয় না) যে, আমরা একেবারে কমফোর্ট জোনে আছি। সুতরাং আমরা যে যেখানে থাকি, ভ্যাকসিন নিই বা না নিই, আমরা যেন অবশ্যই তিনটা জিনিস মেনে চলি।’
সচিব জানান, ওই তিনটি বিষয় হলো মাস্ক পরা, সতর্কতা মেনে চলা ও জনসমাগম যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমাদের যারা এক্সপার্ট, তারা আলোচনা করছেন যেন আমরা খুব কমফোর্ট ফিল না করি। গত বছর কিন্তু আমাদের পিক উঠেছে সামারে (গ্রীষ্মে)। সুতরাং ইট ইজ নট শিউর যে এ বছর উঠবে না। আমাদের যেটা অ্যাপ্রিহেনশন ছিল যে, শীতকালে বুঝি পিকে (সর্বোচ্চ অবস্থায়) চলে যাবে। কিন্তু আমাদের পিক ছিল হাই সামার। সুতরাং এপ্রিল, মে, জুন মাস আমাদের হাই সামার হবে।’
এমন অবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরিধানে বাধ্য করতে অভিযানে নামা হবে কি না, জানতে চাওয়া হয় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে সিনারিওটা দেখি। আমরা তো প্রচার করছি যে, একটা ভ্যাকসিন নিলেই আপনি পরিপূর্ণভাবে প্রোটেকটিভ না। ইভেন ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।’
সম্প্রতি টিকা গ্রহণে মানুষের অনীহার বিষয়টি নজরে আনা হলে সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিজি হেলথ কাজ করছে। দুই-এক দিন পর তারা কথা বলবে।’