দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৮৯ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯১২ জনের দেহে। এ নিয়ে শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৭ জন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা প্রয়োগ শুরু হলেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯১২ জনের দেহে। যা গত দুই মাসের মধ্য সবচেয়ে বেশি। গত ১০ জানুয়ারি এর চেয়ে করোনায় বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৭১ জন। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৪ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি ল্যাবে অ্যান্টিজেনসহ ১৭ হাজার ৭৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনই পুরুষ। তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব এক, চল্লিশোর্ধ্ব দুই, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচ ও ষাটোর্ধ্ব পাঁচজন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ১০, চট্টগ্রামে এক, বরিশালে এক, সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যে কারণে বাড়ছে শনাক্ত
গরমে করোনা কিছুটা বাড়তে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা প্রতিরোধে দেশে গণটিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে তবে এখনও কাউকেই দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়নি। এক ডোজ টিকা কখনওই সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখার নিশ্চয়তা দেয় না। দুই ডোজ টিকা দেয়ার ১৪ দিন পরে প্রতিরোধ ক্ষমতা সর্বোচ্চ থাকে। টিকা দেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। যে কারণে বাড়ছে শনাক্তের হার।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, জানুয়ারি থেকে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় এবং দেশব্যাপী টিকা দেওয়া শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। সে কারণে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। মানুষ এখন ছুটির দিনগুলোয় বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ভিড় করছেন। সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশেও যেতে শুরু করেছেন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। অনেকে মাস্কও ব্যবহার করছেন না। যে কারণে বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা।