বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২১ দিনে টিকা নিল ৩৪ লাখ

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫৯

উদ্বোধনের ১০ দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম। প্রথম দিন ৩১ হাজার মানুষ টিকা নিলেও তিন দিনের মধ্যে টিকা প্রয়োগের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর আর কখনও তা লাখের নিচে নামেনি। তবে গত কয়েক দিনে টিকা প্রয়োগের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। এক দিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণটিকা প্রয়োগের ২১ দিনে দেশে টিকা নিয়েছেন প্রায় ৩৪ লাখের বেশি মানুষ।

বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৪ জন। সব মিলিয়ে নিয়েছেন ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ১৫৯ জন।

এদের মধ্যে পুরুষ ২২ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ জন এবং নারী ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯০ জন।

এ সঙ্গে যোগ হবে আরও ৫৬৭ জন, যাদের গণটিকার আগে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়।

উদ্বোধনের ১০ দিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম। প্রথম দিন ৩১ হাজার মানুষ টিকা নিলেও তিন দিনের মধ্যে টিকা প্রয়োগের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর আর কখনও তা লাখের নিচে নামেনি।

তবে গত কয়েক দিনে টিকা প্রয়োগের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। এক দিনে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৪ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনসহ এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭৮৪ জনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এসব মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

কারও সামান্য জ্বর হয়েছে কিংবা বমি হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়। এরপর টানা চার দিন ধরে বাড়তে থাকে টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা।

ঢাকার ৪২টি এবং ঢাকার বাইরে ৯৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাভিত্তিক সবচেয়ে বেশি টিকা দেয়া হয়েছে ঢাকায়। টিকা নিয়েছেন ২৭ হাজার ১৬২ জন। সবচেয়ে কম দেয়া হয়েছে বান্দরবানে ২৫৭ জনকে।

২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ২৪ হাজার ৭৫৪ জন। ঢাকা বিভাগে মোট টিকা নিয়েছেন ৪২ হাজার ৩১০ জন। আর রাজধানীতে পাঁচজনসহ ঢাকা বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সাতজনের।

চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ২২ হাজার ৬৮০ জনকে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

রাজশাহী বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১১ হাজার ৪১২ জন। এই বিভাগের দুইজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

খুলনা বিভাগে ১৮ হাজার ৯ জনকে টিকা দেয়া হয়। এই বিভাগে একজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

বরিশালে টিকা দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৫৩৪ জনকে। এই বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।

সিলেট বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৬৬৭ জনকে। এদের মধ্যে একজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা দেয়া হয় ৪ হাজার ৮৭ জনকে। এই বিভাগেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রংপুর বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১০ হাজার ৯৫৫ জন। এই বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি কারও।

বাংলাদেশ করোনার টিকা এনেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে। সেখান থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে।

এই টিকার মধ্যে দেশে এরই মধ্যে এসেছে ৭০ লাখ টিকা। এর বাইরে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেয়া ২০ লাখ টিকাও এসেছে।

বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্স থেকেও বাংলাদেশ টিকা পাবে। প্রথমে জানানো হয়েছিল দেশে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ হিসেবে পৌনে ৭ কোটি টিকা পাওয়া যাবে। কিন্তু পরে জানানো হয় জনসংখ্যা ২৭ শতাংশ হিসেবে ৮ কোটির মতো টিকা পাওয়া যাবে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে, গর্ভবতী, ৮০ শতাংশের বেশি মৃত্যুঝুঁকি আছে এমন রোগী, অ্যালার্জি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন রোগীকে টিকা দেয়া হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর