করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণটিকা প্রয়োগের ১৭ দিনে দেশে টিকা নিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখের মতো মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৯ জন।
শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৯ জন, সব মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৬ জন এবং নারী ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭ জন।
এ সঙ্গে যোগ হবে আরও ৫৬৭ জন, যাদের গণটিকার আগে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনসহ এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৭১১ জনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে এসব মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কারও সামান্য জ্বর হয়েছে কিংবা বমি হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়। এরপর টানা চার দিন ধরে বাড়তে থাকে টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বুধবার ঢাকার ৪২টি এবং ঢাকার বাইরে ৯৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলেছে। ১৬ দিনে জেলাভিত্তিক সবচেয়ে বেশি টিকা দেয়া হয়েছে ঢাকায়। সবচেয়ে কম দেয়া হয়েছে খাগড়াছড়িতে।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ২৬ হাজার ৮৫৭ জন। ঢাকা বিভাগে মোট টিকা নিয়েছেন ৫০ হাজার ৩৯১ জন। আর রাজধানীতে ৭ জনসহ ঢাকা বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ১১ জনের।
এক দিনে চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৯৭৬ জনকে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
রাজশাহী বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১৪ হাজার ৫৩ জন। এই বিভাগের একজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
খুলনা বিভাগে ২৭ হাজার ৬২৩ জনকে টিকা দেয়া হয়। এই বিভাগে একজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
বরিশালে টিকা দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৯৫ জনকে। এই বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।
সিলেট বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৮০৭ জনকে। এদের মধ্যে একজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা দেয়া হয় ৪ হাজার ৩৭৮ জনকে। এই বিভাগেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রংপুর বিভাগে টিকা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫১০ জন। এই বিভাগে একজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।