যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার এক ডোজই নিরাপদ ও কার্যকর বলে এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) পর্যালোচনায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পর্যালোচনার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফার্মাসিউটিক্যাল আরও দুটি কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার টিকার চেয়ে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা সাশ্রয়ী। এ ছাড়া এটি সংরক্ষণ করতে ফ্রিজারের প্রয়োজন পড়বে না। রেফ্রিজারেটরেই জনসনের টিকা সংরক্ষণ করা যাবে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের মালিকানাধীন বেলজিয়ামভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জানসেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ডাটায় দেখা গেছে, রোগের গুরুতর অবস্থা মোকাবিলায় টিকা অত্যন্ত কার্যকর।
জানসেনের ডাটার ওপর ভিত্তি করে পর্যালোচনা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করে এফডিএ। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ভাষ্য, লক্ষণগত ও গুরুতর অসুস্থতা কমাতে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা ব্যবহার করে সুফল পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে জনসনের টিকার ট্রায়াল হয়। এসব ট্রায়ালের ফলে দেখা যায়, করোনা রোধে টিকাটির কার্যকারিতা ‘একইভাবে বেশি’। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে ওই টিকার সামগ্রিক সুরক্ষা কম। এর কারণ দেশ দু্ইটিতে করোনার নতুন ধরন বেশ শক্তিশালী।
ডাটায় দেখা যায়, গুরুতর অসুস্থতা রোধে জনসনের টিকা ৮৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। তবে সামগ্রিকভাবে এ টিকা কেবল ৬৬ শতাংশ কার্যকর। বিশেষ করে মাঝারি পর্যায়ের অসুস্থতা মোকাবিলা ও টিকাদানের কমপক্ষে ২৮ দিন পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা কম দেখা গেছে।
তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, জনসনের টিকার ট্রায়ালের সময় অংশগ্রহণকারীদের কারও মৃত্যু হয়নি। টিকা নেয়ার ২৮ দিন পর অসুস্থ হয়ে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতেও হয়নি।
জনসনের টিকা বিষয়ে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেন, এফডিএ জরুরি ভিত্তিতে এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিলে আশা করা যাচ্ছে, সামনের সপ্তাহে অন্তত ৩০ লাখ ডোজ বিতরণ করা হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, করোনা প্রতিরোধে ফাইজার ও মডার্নার টিকার দুইটি ডোজ লাগছে। সে জায়গায় জনসনের টিকার ক্ষেত্রে শুধু একটি ডোজই লাগবে। একই সঙ্গে টিকা দিতে কম স্বাস্থ্যকর্মী লাগবে।