করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সব দেশে টিকার সুষম বণ্টন নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচির ডোজের প্রথম চালান পৌঁছেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায়।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১৯০টি দেশে করোনার টিকার ২০০ কোটি ডোজ সরবরাহের লক্ষ্য রয়েছে ডব্লিউএইচওর।
তালিকার ৯৮টি উন্নত দেশের সঙ্গে ৯২টি স্বল্পোন্নত দেশও যেন একই সময়ে টিকা পায়, সেটি নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৬ লাখ ডোজ পৌঁছায় ঘানার রাজধানী আক্রায়।
যৌথ বিবৃতিতে মুহূর্তটিকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ। এতে বলা হয়, মহামারির ইতি টানতে বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার পর্দা উঠল ঘানায় টিকা পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে। প্রথম দফায় আরও টিকা পাঠানো হবে নিম্ন ও মধ্য আয়ের বিভিন্ন দেশে।
ঘানায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬০০ মানুষের। আক্রান্ত প্রায় ৮১ হাজার। করোনা শনাক্তকরণ ব্যবস্থায় ঘাটতির ফলে ঘানার প্রকৃত মহামারি পরিস্থিতি সামনে আসেনি বলে রয়েছে অভিযোগ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত শতভাগ জনগোষ্ঠীর জন্য করোনার টিকা সংগ্রহ করতে পেরেছে হাতেগোনা কয়েকটি ধনী দেশ। বিপরীতে একটি ডোজও টিকা পায়নি ১৩০টির বেশি দেশ।
এ অবস্থায় টিকাবঞ্চিত হয়ে সংক্রামক ভাইরাসটি প্রতিরোধের লড়াইয়ে দরিদ্র দেশগুলো যেন পিছিয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে মহামারির শুরু থেকেই কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন্স (সিইপিআই)।
ধনী দেশগুলো যেন টিকা কিনতে দরিদ্র দেশগুলোকেও আর্থিক সহযোগিতা করতে সম্মত হয়, তা নিশ্চিত করাও এ কর্মসূচির লক্ষ্য।
কোভ্যাক্স কর্মসূচির জন্য এখন পর্যন্ত ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করতে পেরেছে ডব্লিউএইচও। তবে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কমপক্ষে আরও ২০০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।