করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শরতের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সায়-কিয়ুন।
মঙ্গলবার বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশার কথা জানান।
করোনার টিকাদান বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রথম ধাপে ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি আমরা। এই লক্ষ্য অর্জন সহজ নয়। তবে সম্ভব বলে বিশ্বাস করি।’
টিকা নিতে জনগণ রাজি হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ টিকা নেয়ার বিষয়ে অনীহা দেখাতে পারে। তবে সরকার টিকা নিতে জনগণকে উৎসাহ জুগিয়ে যাবে।
‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা কার্যকর হলে এবং ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের মধ্য দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সম্ভব হলে শরতের মধ্যে কোরিয়াবাসী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।’
গত বছরের শুরুতে যেসব দেশে করোনা আঘাত হানে, সেগুলোর অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। তবে গণ আকারে পরীক্ষা ও জোরদার কনটাক্ট ট্রেসিংয়ের কারণে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রোল মডেলে পরিণত হয় দেশটি।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার টিকাদান কর্মসূচি তুলনামূলকভাবে ধীর। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকা চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে দেশটির হাসপাতাল ও কেয়ার হোমের স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়া শুরু করবেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দেশে করোনার টিকা কতটুকু সফল, তা এ সময়ে পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছে দেশের কর্মকর্তারা। আপনারা জানেন, গতিতে কোরিয়ানরা অনেক দক্ষ।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী মাসজুড়ে প্রায় আট লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার যে পরিমাণ ডোজ অর্ডার করেছে, তা সাড়ে পাঁচ কোটি জনগণকে টিকার আওতায় আনার জন্য পর্যাপ্ত। তবে এসব টিকার বেশির ভাগ চালান জুলাইয়ের আগে দেশটিতে পৌঁছার সম্ভাবনা নেই।