ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় চালানের ৫০ লাখের মধ্যে ২০ লাখ ডোজ দেশে পৌঁছাছে।
সোমবার রাত ১২টা ২৫ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট টিকার এই চালান নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সিরাম থেকে বাংলাদেশ কিনেছে মোট ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা। প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ আসে গত ২৫ জানুয়ারি। এর আগে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ আসে ২১ জানুয়ারি।
চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এসেছে ২০ লাখ ডোজ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বিশেষ বিমানে ২০ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে। এখান থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা এটা রিসিভ করে গাজীপুরের ওয়্যারহাউজে রাখবেন। এরপর সেখান থেকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় বণ্টন করা হবে।’
প্রথম দফায় ৩৫ লাখ টিকা দেয়ার যে চিন্তা ছিল তা পরিবর্তন করে এখন সংরক্ষণে থাকা পুরোটাই প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হবে ৬০ লাখ ডোজ টিকা। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে কি না- তা নিয়ে কাজ করা হবে। যে টিকা পৌঁছেছে তা নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো পরিকল্পনা নেই, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পনা করা হবে।
বাংলাদেশ যে টিকা কিনেছে, তাতে মধ্যস্ততা করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। তারা সিরামের লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। পাশাপাশি দেশে টিকা আসার পর এর সংরক্ষণ ও পরিবহণের দায়িত্বও তারাই পালন করছে।
ভারত সরকারের দেয়া উপহারের টিকা দেশে আসে ২১ জানুয়ারি। ছবি: নিউজবাংলা
বিশ্বজুড়ে নানা ব্র্যান্ডের টিকার প্রয়োগ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুৎনিক ও চীনের সিনোভ্যাক। তবে বাংলাদেশে প্রয়োগ চলছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ‘কোভিশিল্ড’ টিকা।
মোট ৭০ লাখ ডোজ হাতে নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি কয়েক জনকে প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয় টিকাদান। এর ১০ দিন পর শুরু হয় গণটিকা।
প্রথম দিন ৩১ হাজার মানুষ টিকা নিলেও পরে এর প্রয়োগ বাড়তে বাড়তে এক দিনে দুই লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রথম ১২ দিনে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে ২৩ লাখের বেশি। সব মিলিয়ে এখনও সরকারের হাতে আছে প্রায় ৭০ লাখ ডোজ টিকা।