গণটিকা প্রয়োগের ১৩ দিনে সারা দেশে টিকা দিয়েছেন ২৩ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮০ জন। এই সময়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৬০৯ জনের শরীরে।
সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮০ জন, সব মিলিয়ে টিকা নিয়েছেন ২৩ লাখ ৮ হাজার ১৭৫ জন। টিকা নেয়ার তালিকায় পুরুষ গ্রহীতা ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন ও নারী সাত লাখ ৮৯ হাজার ৪৪২ জন।
এর সঙ্গে যোগ হবে আরও ৫৬৭ জন, যাদের গণটিকার আগে ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়েছিল।
২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনসহ এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৬০৯ জনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা দেয়া শুরু হয়। পরে টানা চার দিন ধরে বাড়তে থাকে টিকা নেয়া মানুষের সংখ্যা। ১৬ ফেব্রুয়ারি ও সোমবার এই সংখ্যা দুই লাখের উপরে ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সোমবার ঢাকার ৪৬টি ও ঢাকার বাইরে ৯৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে টিকা কার্যক্রম। ১৩ দিনেও জেলাভিত্তিক সবচেয়ে বেশি টিকা দেয়া হয়েছে ঢাকায়; সবচেয়ে কম দেয়া হয়েছে বান্দরবানে।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরে টিকা নিয়েছেন ২৯ হাজার ৪৪১ জন। ঢাকা বিভাগে মোট টিকা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৩৮ জন। আর রাজধানীতে চার জনসহ ঢাকা বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ১১ জনের ক্ষেত্রে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ৪৯ হাজার ২৮১ জনকে। এই বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী বিভাগে টিকা নিয়েছেন ২২ হাজার ৬৭০ জন। এদের মধ্যে চারজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
খুলনা বিভাগে ৩০ হাজার ৪৬৬ জনকে টিকা দিলে দুইজনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বরিশালে টিকা দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ৬০৩ জনকে। এই বিভাগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে একজনের শরীরে।
সিলেট বিভাগে টিকা দেয়া হয়েছে ১১ হাজার ৯৬২ জনকে। এদের মধ্যে দুইজনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ময়মনসিংহ বিভাগে টিকা দেয়া হয় ১০ হাজার ১৪ জনকে। যেখানে একজনের শরীরেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর আসেনি।
রংপুর বিভাগে টিকা নিয়েছেন ২০ হাজার ৩১৮ জন। আর একজনের শরীরে পাওয়া গেছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।