বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে টিকা উৎপাদনে আইনি বাধা কাটল

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:২২

১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই চুক্তির আওতায় পূর্ণ সদস্য পদ পেতে হলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।

দেশেই সব ধরনের টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আনা প্রস্তাবটির অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন প্রান্ত থেকে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার সদস্যরা অংশ নেন সচিবালয়ে।

১৯৯৬ সালের ২৮ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) উদ্যোগে ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। কিন্তু ওই চুক্তির আওতায় পূর্ণ সদস্য পদ পেতে হলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানালেন, প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

‘বর্তমান বাস্তবতায় এটি আরও বেশি প্রয়োজন বলে অনুভূত হচ্ছে। বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং এ সম্পর্কিত গবেষণা কাজে প্রশিক্ষণ, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যাবে।’

এর মধ্য দিয়ে দেশে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘ভ্যাকসিন উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও যুগপোযোগী হবে। দেশের স্বল্পমূল্যে টিকা সরবরাহ করা যাবে।

‘ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ডাব্লিওএইচও'র প্রিকোয়ালিফিকেশন অর্জন করাও আমাদের জন্য সহজ হবে, যা বিদেশে বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের বাজার সম্প্রসারণে সহযোগিতা করবে।’

বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে টিকা উৎপাদনে এই চুক্তির প্রয়োজন হবে না বলে জানান সচিব।

তিনি বলেন, ‘ধরেন, ফাইজার যদি আমাদের কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে অ্যাকর্ডিং টু ফাইজারের প্রটোকল অনুযায়ী আমাদের পারমিশন লাগবে না। তবে নতুন উদ্ভাবিত কোনো টিকা যদি দেশে উৎপাদন করতে হয়, সেক্ষেত্রে এই চুক্তির অধীনে হবে।

‘যদি আমরা নতুন করে করতে যাই, গ্লোব বায়োটেকের কথা বলি, এটা যদি আমরা এখান থেকে প্রডিউস করতে চাই, তখন আমাদের চুক্তি অনুযায়ী শর্ত মানতে হবে।’

দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স টিকা নিয়েও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

‘তারা যদি ডব্লিউএইচও এর প্রটোকল মেনে করতে পারে, তারা টেস্ট করবে, ট্রায়াল করবে, তারপরে দেখা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর