বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক ডোজ টিকাও অপচয় নয়: স্বাস্থ্যসচিব

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:০২

সচিব বলেন, ‘টিকার একটি বাক্স খোলার পর ১০ জনকে দিতে হয়। টিকাগুলো যাতে অপচয় না হয় এর জন্য নজরদারি করছি। আমরা চাচ্ছি না একটি ভ্যাকসিনও অপচয় হোক।’

জনগণের অর্থে কেনা করোনাভাইরাসের টিকার একটি ডোজও সরকার অপচয় করতে চায় না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান।

তিনি জানান, এ নির্দেশনা দেশের ১ হাজার ১০টি টিকাদান কেন্দ্রে দেয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে সচিবালয়ে ক্লিনিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সচিব বলেন, ‘টিকার একটি বাক্স খোলার পর ১০ জনকে দিতে হয়। টিকাগুলো যাতে অপচয় না হয় এর জন্য নজরদারি করছি। আমরা চাচ্ছি না একটি ভ্যাকসিনও অপচয় হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা সরকারের অর্থে, জনগণের অর্থে আমরা কিনেছি। সব জায়গায় মেসেজ দিয়েছি একটি ভ্যাকসিন বা একটি ডোজ যাতে অপচয় না হয়।’

টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বাড়লেও ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু এটি মানতে নারাজ স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান বলেন, ‘না, এটা ঠিক না।’

‘যেখানে লোকসমাগম হচ্ছে সেখানে আমরা বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছি। প্রত্যেকটি জায়গায় টিকা লিমিট করা আছে। আমি এক জায়গায় ৩ হাজার দেব, এক জায়গায় ৩০০ দেব- এ রকম না। আমরা সব সময় পপুলেশনটা দেখছি। একটি স্থানে কত লোক রেজিস্ট্রেশন করেছেন, এর সঙ্গে মিলিয়ে কিন্তু আমরা সাপ্লাই দিচ্ছি।’

দেশের ১ হাজার ১০টা হাসপাতালে প্রতিদিন টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানান সচিব। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, এই কাজে ৫০ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োজিত।

দ্বিতীয় ডোজের ৫০ লাখ টিকা চলতি মাসের শেষে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যসচিব।

‘আরও যে ৫০ লাখ টিকা আসবে, আমরা আশা করছি এটা এন্ড অফ দিস মান্থ বা নেক্সট মান্থের ফাস্ট উইকে চলে আসবে।’

সচিব বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশের যে জাতীয় কারিগরি কমিটি আছে তারাসহ আমাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে এন্টিবডি তৈরি হতে আমাদের আরেকটু বেশি সময় লাগবে। এর অর্থ হলো আগে চার সপ্তাহ ছিল। এখন আমরা আট সপ্তাহ করে দিয়েছি। এতে আমরা একটা বিরাট গ্যাপ পাচ্ছি।

‘আমাদের পরবর্তী চালান আসা বা টিকার জন্য কোনো ধরনের কোনো শঙ্কা বা কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।’

হাতে যথেষ্ট সময় থাকায় আরও সুন্দরভাবে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করা সম্ভব বলে মনে করেন জানান আবদুল মান্নান।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, টিকা নেয়ার বয়সসীমা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও এটা করিনি। কারণ হলো আমরা চাচ্ছি একটা সুশৃঙ্খল পরিবেশে উৎসবমুখরভাবে জুন-জুলাই মাস পর্যন্ত এটাকে কন্টিনিউ করতে।’

সচিব বলেন, টিকা নিতে গিয়ে কোনো ব্যক্তি যাতে কোনো অভিযোগ তুলতে না পারেন, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার।

তিনি বলেন, ‘কোথাও টিকা দিয়ে বের হয়ে কেউ যেন বলতে না পারেন খুব খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, টিকা না দিয়ে ঘুরে আসলাম।

‘আমরা সব সময় চাচ্ছি স্লো অ্যান্ড স্টিডি উইনস দ্য রেস। আমরা খুব ধীরে যাচ্ছি, যেহেতু আমাদের হাতে সময় আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর