দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী টানা তিন থেকে চার সপ্তাহ সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া হয়। বাংলাদেশে গত তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
অবশ্য নীতিমালায় এও বলা আছে, দিনে পরীক্ষা হতে হবে ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু গত চার সপ্তাহে এক বারও ২০ হাজার পরীক্ষা করা হয়নি। এক দিন ছাড়া প্রতিদিনই পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজারের নিচে।
এই কম নমুনা পরীক্ষার পেছনে অবশ্য সরকারের কোনো দায় নেই। শুরুর দিকে কিটসহ অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতায় ফলাফল পেতে দেরি হলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। দেশের ১১০টি ল্যাবে এখন পরীক্ষা করা যায়। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টও। জনগণই পরীক্ষা করতে কম যাচ্ছে।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ২৯৮ ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৩৯৬ জনের শরীরে। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৪ জন।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০ ও নারী ৩ জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে কিশোর ১ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৬ জন।
বিভাগ অনুযায়ী ঢাকায় ৯, বরিশালে ১, ময়মনসিংহে ১, চট্টগ্রাম ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত এক দিনে ২১২টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৭৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় ৭৫১ জনসহ দেশে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬২১ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের ১১ মাস চলছে।