বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অক্সফোর্ডের টিকায় অনুমোদন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:৪৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, শারীরিক নিরাপত্তার জন্য যেসব শর্ত অবশ্যই থাকার দরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় তা রয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকা জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়ে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনেও টিকাটি ব্যবহারে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের কয়েক দিনের মধ্যে ডব্লিউএইচওতেও তালিকাভুক্তির খবর এলো।

সোমবার এক বিবৃতিতে টিকাটি অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকেবায়ো ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত তুলনামূলক স্বস্তা টিকায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদন করছে ‘কোভিশিল্ড’ নামে। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনেছে বাংলাদেশও, ভারত সরকার থেকে উপহার পেয়েছে আরও ২০ লাখ ডোজ। মোট ৭০ লাখ ডোজ টিকা হাতে নিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশজুড়ে গণটিকার প্রয়োগ চলছে।

টিকাটি অনুমোদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গাব্রিয়েসাস বলেন, ‘দ্রুত টিকা বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমাদের হাতে এসেছে। আমাদের এখন উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উদ্ভাবকদেরও তাদের প্রমাণাদি ধনী দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় জমা দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায়ও জমা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

কয়েক দিন আগেই ডব্লিউএইচওর টিকা বিষয়ক কৌশলগত পরামর্শদাতা বিশেষজ্ঞ দল অন্তর্বর্তীকালীন এক সুপারিশে জানায়, সব দেশের যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে এই টিকার দুই ডোজ নিতে পারবে।

এমনটি দক্ষিণ আফ্রিকাসহ যেসব দেশে করোনার নতুন ধরন দেখা গিয়েছে সেসব দেশেও নেয়া যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

যদিও ভারতের সিরাম থেকে এই টিকা হাতে পেয়েও গত সপ্তাগে প্রয়োগে যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, টিকাটি নতুন ধরনের ক্ষেত্রে কাজ করে ‘সামান্যই’। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই নতুন ধরনে সংক্রমিত।

ডব্লিউএইচওর পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, শারীরিক নিরাপত্তার জন্য যেসব শর্ত অবশ্যই থাকার দরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় তা রয়েছে। এটার কার্যকারিতা ঝুঁকিগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বেশ কিছু ব্র্যান্ডের টিকার প্রয়োগ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুৎনিক, চীনের সিনোভ্যাক টিকা। তবে এসব টিকা সংরক্ষণ প্রক্রিয়া জটিল, দামও বেশি।

সেদিক থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সংরক্ষণ সহজ, দামও কম। ফলে এই টিকা নিয়ে আগ্রহ অধিকাংশ দেশের। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ব্রাজিল, মেক্সিকোসহ অনেক দেশে এই টিকার প্রয়োগ চলছে। টিকাটি পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কানাডা, সৌদি আরবসহ আরও অনেক দেশ।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে সব দেশে টিকা বণ্টনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে কোভ্যাক্স নামক যে প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে সেটিরও সিংহভাগ টিকা আসবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকেই।

এ বিভাগের আরো খবর