সিটি স্ক্যান করলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে ক্যানসারের শুরুতেই রোগটি শনাক্ত করা সম্ভব। যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় এসেছে এ তথ্য।
বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক মনে করা হয় ফুসফুসের ক্যানসারকে। এর প্রধান কারণ, সঠিক সময়ে রোগটি ধরা না পড়া।
ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রতি চারজন ব্যক্তির তিনজনেরই রোগ শনাক্ত হয় তৃতীয় বা চতুর্থ, অর্থাৎ শেষ পর্যায়ে গিয়ে। তখন চিকিৎসা করে রোগীর জীবন বাঁচানো প্রায় অসম্ভব।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হস্পিটাল এনএইচএস ট্রাস্ট (ইউসিএলএইচ) বলছে, প্রচলিত পদ্ধতিতে ফুসফুসে ক্যানসার শনাক্ত হয় আক্রান্ত হওয়ার প্রায় দেড় বছর পর। এর ফলে ৭০ শতাংশ রোগীই অনিরাময়যোগ্য অবস্থায় চলে যান।
ধূমপায়ী অথবা আগে ধূমপান করতেন ১২ হাজার একশ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে ১৭০ জনের ফুসফুসে ক্যানসার শনাক্ত করেছে ইউসিএলএইচ। এই রোগীদের ৭০ ভাগের ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল ক্যানসারের সংক্রমণ।
তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী অস্ত্রোপচারের পর তিন থেকে পাঁচদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন এবং ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক কাজ শুরু করেছেন।
ইউসিএলএইচ-এর ডা. স্যাম জেনস বলেন, ‘সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়েই ফুসফুসের ক্যানসার শনাক্ত করার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।এতে দুরারোগ্য পর্যায়ে চলে যাওয়ার আগেই ক্যানসার ধরা পড়বে, ফলে রোগমুক্তির সম্ভাবনাও বাড়বে।’
ইউসিএলএইচ বলছে, কেবল এ পদ্ধতিতেই যুক্তরাজ্যে লাখো প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। এজন্য ধূমপায়ী এবং জীবনের কোনো এক সময়ে ধূমপানের অভ্যাস ছিল, এমন ব্যক্তিদের নিয়মিত সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন ফুসফুসের ক্যানসারে গড়ে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়। প্রতি বছর এ সংখ্যা ৩৫ হাজার একশ। আর বছরে নতুন করে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হন প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ।