পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে প্রাণঘাতী ভাইরাস ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই সঙ্গে আরও পাঁচ জনের ইবোলা শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি।
রোববার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
গিনির ন্যাশনাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির প্রধান সাকোবা কেইটা জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক নার্স। মারা যাওয়ার পর ১ ফেব্রুয়ারি তাকে সমাহিত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘সৎকারে অংশ নেয়াদের আট জনের মধ্যে ইবোলার উপসর্গ দেখা দেয়। এদের মধ্যে তিন জন মারা গেছেন। চার জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এক জন পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে ধরে এনে রাজধানী ক্রোনাকির হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’
সাকোবা কেইটার মতে, এই মুহূর্তে আবারও ইবোলা মহামারির ঝুঁকিতে রয়েছে গিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রেমি লামাহ বলেন, ‘২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত চলা মহামারির পর নতুন করে ইবোলায় মৃত্যুর ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।’
ওই সময় তিন বছরে গিনিতে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল।
মহামারি ঠেকাতে টিকার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসেস এক টুইট বার্তায় জানান, গিনিতে নতুন করে ইবোলা শনাক্ত হওয়ার ব্যাপারে জানেন তারা। একই সঙ্গে সংস্থাটির আঞ্চলিক কার্যালয় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ইবোলা নিয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছে লাইবেরিয়া ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোও।
১৯৭৬ সালে কঙ্গোতে প্রথমবারের মতো ইবোলা শনাক্ত হয়। ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত ভাইরাসটি পশ্চিম আফ্রিকায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৯ সালে ভাইরাসটির টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার প্রায় ৯০ শতাংশ।
সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজ করা সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেনশনের হিসেব অনুযায়ী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।