বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় মৃত্যু কমে পাঁচ, ১১ মাসে সর্বনিম্ন

  •    
  • ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:৪৯

গত একদিনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪০৪ জনের শরীরে। মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৫ জনে।

দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ২৫৩ জনে।

১১ মাসের মধ্যে করোনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু দেখল দেশ। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত একদিনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪০৪ জনের শরীরে। মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৫ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২১০টি ল্যাবে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ১৪ হাজার ২৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৮২ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪২২ জনসহ মোট সুস্থ হলেন চার লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৩ জন।

গত একদিনে মৃত পাঁচ জনের মধ্যে পুরুষ চার, নারী এক জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ দুই ও ষাটোর্ধ তিন জন।

বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় চার ও চট্টগ্রামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার। এখন দেশে সংক্রমণের ১১ মাস চলছে।

চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহ পাঁচ শতাংশের নিচে হলে করোনা নিয়ন্ত্রণে বলা যায়।

অবশ্য নীতিমালায় এও বলা আছে, দিনে পরীক্ষা হতে হবে ২০ হাজারের বেশি। কিন্তু গত চার সপ্তাহে এক বারও ২০ হাজার পরীক্ষা করা হয়নি। একদিন ছাড়া প্রতিদিনই পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজারের নিচে।

এই কম নমুনা পরীক্ষার পেছনে অবশ্য সরকারের কোনো দায় নেই। শুরুর দিকে কিটসহ অবকাঠামোগত সমস্যায় পরীক্ষা করতে বাধা পেলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। দেশের ১১০টি ল্যাবে এখন পরীক্ষা করা যায়, সেই সঙ্গে শুরুর হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টও। জনগণই পরীক্ষা করতে কম যাচ্ছে।

এবারের শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ছিল সরকার। ইউরোপে শীতে দ্বিতীয় ঢেউ প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতি হওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দেয় সরকার।

বিশেষ করে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। মাস্ক ছাড়া সেবা মিলবে না- এমন নীতি ঘোষণা করার পরও কাজ না হওয়ায় নামানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অসংখ্য মানুষকে করা হয় জরিমানা। নামানো হয় অক্টোবর-নভেম্বরে। তবে শীত বাড়ার পর সংক্রমণ না বেড়ে উল্টো কমতে থাকে।

টানা চার সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণের হার ক্রমন্বয়ে নিম্নমুখী অবস্থানে। কমছে মৃত্যুও। তিন মাস আগে যেখানে দিনে ৩০ জনের বেশি মারা যেত, সেই সংখ্যাটি কমে এখন ১০ এর কিছু ওপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে যা ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সংক্রমণের নিম্নমুখী হার আমাদের আশা যোগাচ্ছে। দেশে পাঁচ শতাংশের নিচে সংক্রমণ হলে এবং এটা যদি টানা দুই সপ্তাহ চলে তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বলতে পারি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানাচ্ছি।

করোনা মোকাবিলায় গঠিত সরকারের কারিগরি কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম অবশ্য আরও অপেক্ষা করতে চান। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করব। যদি এর মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার না বাড়ে, তাহলে আমরা ধরে নেব সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে।’

এবিষয়ে আইইডিসিআর এর উপদেষ্টা মো. মোস্তাক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি দিকে তবে বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসনি। যে কারণে পুরোপুরি স্বস্তির সময় এখনও আসছে বলা যাবে না। দেশে গণটিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধি নেমে চলা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বস্তিতে আছি যে সংক্রমণের হার কম কিন্তু যেটুকু আছে সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সংক্রমণটা কোন একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বা ক্লাস্টার হয়ে নেই। সংক্রমণটা একটা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকলে আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতাম আর দেশের বাকি অংশকে নিরাপদ বলতাম। কিন্তু সারাদেশে ছড়ানো থাকায় আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলা যায়।

এ বিভাগের আরো খবর