প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের নাগরিকদের জন্য টিকা নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।
গণটিকাদান কর্মসূচির পঞ্চম দিনে স্ত্রীসহ টিকা নেয়ার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘গত বছর বাজেট বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যখনই টিকা আবিষ্কার হবে, প্রথম সুযোগে দেশের নাগরিকদের জন্য তিনি টিকা সুনিশ্চিত করবেন। তিনি কথা রেখেছেন।
‘ইতিমধ্যে আমরা ৭০ লাখ টিকা সংগ্রহ করেছি এবং পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবাইকে টিকা প্রদান করবেন।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৯ নেতা।
টিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দেশের এবং অনেক মানুষের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই টিকা এনেছেন প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য। মহামারির এই ভয়াল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য, দেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সুস্থ রাখবার জন্য উনি টিকা এনেছেন।’
যতই অপপ্রচার চলুক টিকা কার্যক্রম চলবে জানিয়ে রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘সব কাজে অপপ্রচার আগেও ছিল, এখনও আছে। তারপরও মানুষ যেটা সঠিক সিদ্ধান্ত সেটাই নিচ্ছে বলে মনে করি।’
তাদের সঙ্গে টিকা নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল ইসলাম চৌধুরী নাদেল, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, বৃহস্পতিবার আরও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার টিকা নেয়ার কথা আছে।
৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রথম টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।