বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন ধরনেও ‘নেয়া যাবে’ অক্সফোর্ডের টিকা

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১০:৫৩

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ ভাগের ক্ষেত্রেই নতুন ধরন শনাক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটিতে প্রায় দুই হাজার মানুষের ওপর এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে এই টিকা কাজ করছে ‘সামান্যই’। এরপরও নতুন ধরনের ক্ষেত্রে এই টিকা প্রয়োগের কথাই বলল ডব্লিউএইচও।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা না নেয়ার কোনো কারণ দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

চলমান মহামারির মধ্যেই ধরন পাল্টাচ্ছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে কিছু ধরন আছে, যেগুলো আরও বেশি ছোঁয়াচে, আরও বেশি মারাত্মক। নতুন ধরনগুলোতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা খুব একটা কাজে দেয় না বলেও কিছু ট্রায়ালে দেখা গেছে।

এ কারণে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ডের টিকা কিনেও প্রয়োগ করছে না দক্ষিণ আফ্রিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ ভাগের ক্ষেত্রেই নতুন ধরন শনাক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটিতে প্রায় দুই হাজার মানুষের ওপর এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে এই টিকা কাজ করছে ‘সামান্যই’। এরপরও নতুন ধরনের ক্ষেত্রে এই টিকা প্রয়োগের কথাই বলল ডব্লিউএইচও।

অক্সফোর্ডের টিকা ৬৫ বছরের বেশি মানুষের ক্ষেত্রে কাজে দেয় না বলেও অভিযোগ উঠেছে। ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা না দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান, ফ্রান্স, সুইডেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ।

বয়সের বাঁধাধরা বিষয়টিও উড়িয়ে দিয়েছে ডব্লিউএইচও। তারা বলছে, অক্সফোর্ডের টিকা ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরাও নিতে পারবে। পরামর্শে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে দুটি ডোজ নিলে এই টিকা আরও কার্যকর হয়ে ওঠে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টিকা প্রয়োগ চলছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুতনিক ও চীনের সিনোভ্যাক টিকা। কিন্তু এসব টিকার বেশির ভাগই সংরক্ষণপ্রক্রিয়া বেশ জটিল ও বেশি দাম।

দাম ও সংরক্ষণপ্রক্রিয়ার দিক থেকে অক্সফোর্ডের টিকা বেশ সহজলভ্য। টিকাটিকে দেখা হচ্ছে ‘ভ্যাকসিন ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে। এই টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। তাদের কাছ থেকে টিকা কিনছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

সিরাম থেকে তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড টিকা কিনেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান এবং ভারত সরকার থেকে ২০ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে পাওয়ার পর শুরু হয়েছে গণপ্রয়োগ।

কিন্তু টিকাটি নিয়ে কিছু বিতর্কও উঠছে। নতুন ধরনে এটি কাজে দেয় কি না, বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর কি না, এবং এক ডোজের পর আরেকটি ডোজ নেয়ার সময়ের ব্যবধান কত দিন হওয়া উচিত, এসব নিয়ে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

এমন অবস্থায় টিকাটির ট্রায়ালের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছে ডব্লিউএইচওর স্ট্র্যাটিজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্টস অন ইমিউনাইজেশন (এসএজিই)। তাদের আপাত সুপারিশে বলা হয়েছে, টিকাটি সার্বিকভাবে ৬৩ শতাংশ কার্যকর।

দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরনের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় দেখা গেছে, তরুণদের ক্ষেত্রে করোনা-সংক্রান্ত হালকা ও মাঝারি ধরনের অসুস্থতায় ‘সামান্যই’ প্রতিরোধ গড়তে পারছে এই টিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই ট্রায়ালকে ‘অসম্পূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন ডব্লিউএইচওর টিকা-বিষয়ক পরিচালক ক্যাথেরিন ও’ব্রায়েন। বলছেন, এটা ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে, এই টিকা করোনা-সংক্রান্ত জটিল অসুস্থতাও রুখতে পারে।

অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদেরও বিশ্বাস, তাদের উদ্ভাবিত টিকা করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ক্ষেত্রেও কাজ করে এবং এ ধরনের জটিলতা নিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে বাঁচায়।

নতুন ধরনের ক্ষেত্রে টিকাটি প্রয়োগ যুক্তিযুক্ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডব্লিউএইচওর এসএজিএর চেয়ারম্যান আলেজান্দ্রো ক্রাভিওতো বলেন, ‘যেসব দেশে নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ছে যেসব দেশেও এটা ব্যবহার না করার কোনো কারণ নেই।’

এই টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান কত সপ্তাহ হওয়া দরকার এমন প্রশ্নে, বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারা বলছেন, সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পেতে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান হওয়া ভালো। যদিও প্রাথমিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, দুই ডোজ নেয়ার মধ্যে ব্যবধান হতে পারে ছয় সপ্তাহ।

এ বিভাগের আরো খবর