বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারত থেকে নেয়া টিকার প্রয়োগ থামাল দ. আফ্রিকা

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:১৪

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, এই টিকা তাদের ওখানে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে ‘হতাশাজনক’ ফল দিয়েছে। এমন অবস্থায় টিকাটির প্রয়োগ পরিকল্পনা থেকে সরে আসা হয়েছে।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকার প্রয়োগ থামিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, এই টিকা তাদের ওখানে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে ‘হতাশাজনক’ ফল দিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ ভাগের ক্ষেত্রেই নতুন ধরন শনাক্ত হচ্ছে।

দেশটিতে প্রায় দুই হাজার মানুষের ওপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার নতুন ধরন প্রতিরোধে এই টিকা কাজ করছে ‘সামান্যই’।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেকার উদ্ভাবিত করোনা প্রতিরোধী টিকা উৎপাদন হচ্ছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে। এই টিকার গণ প্রয়োগ চলছে ভারত, বাংলাদেশ, নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে।

সিরাম থেকে তিন কোটি ডোজ কিনেছে বাংলাদেশও। এ ছাড়া আরও ২০ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। গত ২৭ জানুয়ারি প্রাথমিকভাবে টিকা প্রয়োগ শুরুর পর রোববার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এই টিকার প্রয়োগ।

করোনার বিস্তার ব্যাপক বাড়ার প্রেক্ষাপটে তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি দামে সিরাম থেকে টিকা কেনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত সোমবার কেনা টিকার ১০ লাখ ডোজের প্রথম চালান দেশটিতে পৌঁছায়। চলতি মাসেই পৌঁছানোর কথা পাঁচ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালান।

আগামী সপ্তাহেই এই টিকা প্রয়োগ করতে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা কর্তৃপক্ষ। শুরুর দিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছিল দেশটি। কিন্তু নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকাটি মোটেও কাজ না করায় এই টিকা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলো তারা।

রোববার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাভেলি এমকিজে জানান, নতুন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করবে তার সরকার।

টিকাটি নিয়ে ট্রায়াল পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি অব উইটওয়াটারস্র্যান্ড। কিন্তু এটা নিয়ে এখনও ‘পিয়ার রিভিউ’ করা হয়নি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানালেন, ভারতের সিরাম থেকে আনা টিকার প্রয়োগ আপাতত স্থগিত করা হলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার আসছে সপ্তাহগুলোতে জনসন অ্যান্ড জনজন ও ফাইজারের টিকা আনার ব্যবস্থা করবে।

করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়াল কার্যক্রম পরিচালনার প্রধান অধ্যাপক শাবির ম্যাধি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা করোনা সংক্রান্ত হালকা ও মাঝারি ধরনের অসুস্থতার বিরুদ্ধেও কাজ করছে না।’

তিনি জানালেন, আরও গুরুতর সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকাটি কাজ করে কি না তা এই এই ট্রায়ালে বলা সম্ভব না। কেননা এখানে অংশগ্রহণকারীরা ছিল গড়ে ৩১ বছর বয়সী। ফলে এই ট্রায়াল সার্বিক মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর