কুমিল্লায় প্রথম টিকা নিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফজল মীর জানিয়েছেন, তিনি ভাবেননি এত দ্রুত টিকা পাবে দেশ।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের টিকা কেন্দ্রে রোববার ১০টা ২০ মিনিটে জেলায় প্রথম টিকা নেন আবুল ফজল মীর। তারপরই টিকা নেন স্ত্রী শেখ মনিরা নাজনীন। বেলা তিনটা পর্যন্ত চলবে টিকাদান।
রোববার থেকে দেশব্যাপী ১ হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে গণটিকাদান শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আবুল ফজল মীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছরের মার্চ থেকে বাংলাদেশসহ করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয় পুরো বিশ্ব। আমরা ভাবিনি, এত দ্রুত টিকা পাব। আমরা প্রান্তিক পর্যায়ের হয়েও টিকা পাচ্ছি। আশা করছি, পৃথিবী থেকে দ্রুত করোনা নির্মূল হবে।’
ডিসির পর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক আহমেদ ও শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান আবদুস সালামও টিকা নেন।
কুমিল্লায় জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের টিকা কেন্দ্রে টিকা নেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। ছবি: নিউজবাংলা
এসপি ফারুক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কুমিল্লায় সময়মতো ভ্যাকসিনেশন শুরু করতে পেরেছি এবং ভ্যাকসিন নিয়েছি। এতে আমরা খুশি।’
জেলা সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে এসেছে। মানুষ ভ্যাকসিন নিতে আসবে না, এমন গুজব উড়ে গেছে। প্রতিদিন আমরা ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে একটি বুথে ভ্যাকসিন দিতে পারব।’
সিভিল সার্জন জানান, জেলার ১৭টি উপজেলার প্রতিটিতে টিকা কেন্দ্র করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল এবং কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
গত ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ করোনার টিকা পৌঁছায়। রোববার ভোরে সবগুলো টিকাকেন্দ্রে এগুলো পাঠানো হয়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১২৫ জনের টিকার চাহিদার কথা জানানো হয়েছে।