বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা নিন, কোনো ভয় নেই: জাফরুল্লাহ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:১৯

টিকা নিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘অনেকেই টিকা নিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি আজকে টিকা নিতেন, তাহলে মানুষ আরও বেশি সাহস পেত।’

ভারত থেকে আসা করোনার টিকা নিয়ে অভয় দিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

গণটিকা শুরুর প্রথম দিন রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে টিকা নেন গত নির্বাচনের আগে বিএনপির গড়ে তোলা জোট জাতীয় ঐক্যফন্ট্রের এই নেতা।

টিকা নিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘টিকা নেন সবাই। কোনো ভয় নেই। সবাইকে বলব এটা আপনার অধিকার। টিকা নেয়ার জন্য যার যেদিন সময় হবে নিয়ে নেবেন।’

গত ২১ জানুয়ারি ভারত সরকার সিরাম ইনস্টিটিউটের ২০ লাখ টিকা উপহার দেয়ার পর থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে টিকা নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা বলা হয়।

দলের মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, এই টিকা নিয়ে মানুষ বাঁচবে না। তিনি এমনও বলেন, টিকা দিয়ে বিএনপিকে মেরে ফেলতে চায় সরকার।

বিএনপির এই বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির সমর্থকরা টিকাবিরোধী ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের দাবি, ভারতে উৎপাদিত এই টিকা অনিরাপদ। তাদের দাবি, সরকার জনগণের ওপর প্রয়োগ করে এই টিকার মান পরীক্ষা করছে।

টিকাটি ভারতীয় যে প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত হচ্ছে, সেই সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত হয় বিশ্বের ৬০ শতাংশ টিকা। আর বাংলাদেশ যে টিকা কিনেছে, সেটির উদ্ভাবক যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।

জোটের শরিক বিএনপির বক্তব্যের সঙ্গে চিকিৎসক জাফরুল্লাহর অবস্থানের অবশ্য কোনো মিল নেই। টিকার নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর অনলাইনে তিনি নিজের, তার স্ত্রী ও গৃহশ্রমিকের জন্য নিবন্ধন করেন।

জাফরুল্লাহর পরামর্শ ছিল, টিকা নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি কাটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন প্রথমেই টিকা নেন।

নিজে টিকা নিয়েও সেই পরামর্শ আবার তুলে ধরেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। বলেন, অনেকেই টিকা নিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি আজকে টিকা নিতেন তাহলে মানুষ আরও বেশি সাহস পেত।

সবাইকে টিকা দেয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমার রিকশাওয়ালা ভাইকে, বাড়ির কাজ করেন যারা তাদেরকে, সাধারণ মানুষ সবাই যেন টিকা সুবিধা পায়।…আমরা যারা অবস্থাবান, তারা না, সাধারণ মানুষেরই এই টিকাটা বেশি দরকার।’

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের টিকা ব্যবস্থাপনার প্রশংসাও করেন জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘এখানে ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো হয়েছে। বিএসএমএমইউর সব কর্মীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। সেদিন ৩০ জনের কম মানুষকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন দেয়া হয় সাড়ে পাঁচ শ জনকে।

সব মিলিয়ে দুই দিনে টিকা দেয়া হয় মোট ৫৭৭ জনকে। এদের কারও মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য আসেনি।

এর ১০ দিন পর সারা দেশে একযোগে শুরু হওয়া গণটিকা কর্মসূচিতে বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, মেয়ররা আগে টিকা নিয়েছেন।

রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলা

সরকারের হাতে এই মুহূর্তে টিকা আছে ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৫০ লাখ কিনে আনা টিকা। আগামী ছয় মাস প্রতি ৩০ দিনে আসবে আরও ৫০ লাখ করে।

এ ছাড়া ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে বিশ্বে গড়ে তোলা জোট কোভ্যাক্সের কাছ থেকে আসবে আরও পৌনে সাত কোটি টিকা। সেটিও আসবে সিরাম থেকেই।

এ বিভাগের আরো খবর