করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, যত দিন প্রয়োজন এ কর্মসূচি চলবে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য করোনা টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছিল। এ জন্য সারা পৃথিবী স্থবির ছিল। কিন্তু স্থবিরতার মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রেখেছি। করোনা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিশ্রম করেছে।
‘সব ফ্রন্টলাইনাররা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিডকালীন কাজ করে যাচ্ছেন, যে কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে সফলভাবে কোভিড মোকাবিলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সফলভাবে টিকার নিশ্চয়তা করে যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য। জনগণ কোনো বিভ্রান্তি ছাড়াই টিকা নেবে।
‘অনেক দেশ এখনো টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর একাগ্রতায় এটা সম্ভব হয়েছে।’
করোনা শনাক্তে সারা দেশে ১১৭টি ল্যাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান টিকা নেয়ায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ১০টি বুথে সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলবে টিকাদান। প্রতিদিন শতাধিক ব্যক্তিকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাসপাতালটিতে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করলেও তিনি টিকা নেননি।
উদ্বোধন শেষে প্রথম টিকা নেন হাসপাতালটির অধ্যক্ষ ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম। পরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারী, নার্সরা টিকা নেন।