বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা টিকা নিলেন সিভিল সার্জন

  • জহির রায়হান সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা   
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:৩৬

শারীরিক অসুস্থতার জন্য চুয়াদাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন টিকা নেননি। প্রথম দিন ৪২০ জনকে দেয়া হবে ভারত সরকারের দেয়া উপহাররের টিকা। সুরক্ষা অ্যাপসে নিবন্ধন করা ব্যক্তিদেরই এ টিকা দেওয়া হবে।

চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে প্রথম টিকা নেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান।

সদর হাসপাতালে রোববার সকাল ১১টার দিকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন।

সিভিল সার্জনকে টিকা দেওয়ার পরে টিকা নেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী।

শারীরিক অসুস্থতার জন্য সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন টিকা নেননি। পুলিশ হাসপাতাল কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।

প্রথম দিন ৪২০ জনকে দেওয়া হবে ভারত সরকারের দেওয়া উপহারের টিকা। সুরক্ষা অ্যাপসে নিবন্ধন করা ব্যক্তিদেরই এ টিকা দেওয়া হবে।

টিকা নেওয়ার পর সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর কোনো অস্বস্তি হচ্ছে না। কারণ এ টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে আমিই প্রথমে টিকা নিয়েছি। এতে অন্যরা টিকা নিতে আগ্রহী হবেন। তাদের ভেতর থেকে ভয় দূর হবে।’

পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও কোনো সমস্যা হয়নি। পুলিশের অন্যান্য সদস্যকে উৎসাহিত করতে জেলা পুলিশের প্রধান হিসেবে আমি টিকা নিয়েছি।’

সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত যেমন বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, ঠিক সেভাবেই এই মহামারির সময়েও পাশে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ। এ টিকা নিয়ে বিরোধী দল বিএনপি অনেক রাজনীতি করেছে। তাদেরকে ভুল বলে প্রমাণিত করতে মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাই আগে টিকা নিচ্ছেন।’

চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনাভাইরাসের টিকা নেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান। ছবি: নিউজবাংলা

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি সকালে ৩৬ হাজার ডোজ টিকা চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। সদর উপজেলার ১০টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি চলবে।

এসব কেন্দ্রে টিকাদান নিয়ে কাজ করবে স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০টি দল। প্রতিটি দলে ২ জন করে টিকাদানকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।

প্রথম দিন সদর উপজেলায় ৩৭০ জন, দামুড়হুদা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ২০ জন, আলমডাঙ্গায় ২০ জন ও জীবননগর উপজেলার ৩টি কেন্দ্রে ১৯ জনকে দেয়া হবে করোনা টিকা। টিকাদান কর্মসূচি সকাল ৮টায় শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শনিবার পর্যন্ত জেলার চার উপজেলার ১ হাজার ৮১৬ জন মানুষ নিবন্ধন করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হিরোক চৌধুরীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ বিভাগের আরো খবর