করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এর মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছেন তিনি।
রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রোববার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে টিকা নেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পর একই হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাড়ে ১১টায় টিকা নেন।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সারা দেশে গণটিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: নিউজবাংলাএর মাধ্যমে দেশব্যাপী ১ হাজার ৫টি কেন্দ্রে একযোগে গণটিকাদান শুরু হয়।
টিকা নেয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার টিকা নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছি। আজ আমরা অনেকে টিকা নিয়েছি। সবাই সুস্থ ও স্বাভাবিক।’
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে ভয় ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই ভালো আছি, সুস্থ আছি।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের জেলার জেলায় টিকা দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। আশা করি আজ লক্ষাধিক লোক করোনা টিকা নিবেন। এখনও পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন তারা সবাই সুস্থ আছেন। কোনো ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।
‘টিকা নেওয়ার দিন কারো কারো শরীরে একটু জোর আসতে পারে। দুই-এক ঘণ্টা পরে আবার ভালো হয়ে গেছে। তাই আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি টিকা নিন, সুস্থ থাকুন।’
গণটিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকার ৫০টি হাসপাতালে ৫০টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মোট ২০৪টি দল ঢাকার টিকাদান পরিচালনা করছে।এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৫৫টি হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা দেয়া হচ্ছে। এতে দুই হাজার ১৯৬টি দল কাজ করছে।
গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কার্যক্রম উদ্বোধনের পর দুই দিনে টিকা দেয়া হয়েছে মোট ৫৭৭ জনকে। এদের কারও মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য আসেনি।
নার্স রুনু ভেরোনিকা ডিকস্তাকে প্রয়োগের ১০ দিন পর আজ রোববার সকাল ৯টায় সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে গণটিকা।
দেশে প্রথম টিকা নেন ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নার্স রুনু ভেরোনিকা ডিকস্তা।প্রয়োগের জন্য সরকারের হাতে আছে ৭০ লাখ টিকা। এর মধ্যে ৫০ লাখ টিকা বাংলাদেশ কিনেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে। আর ২০ লাখ উপহার হিসেবে দিয়েছে দেশটি।
১০ লাখ টিকা এখনও কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের হাতে রাখা হয়েছে জরুরি অবস্থায় ব্যবহারের জন্য। প্রথমে ৬০ লাখ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে অধিদপ্তর। এখন ৩৫ লাখ টিকা প্রথমে দেয়া হবে।
এ ছাড়া গণটিকা দান শুরুর দিনেই টিকা নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনও। তিনি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল টিকা নেবেন।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে টিকা নেবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল টিকা নেবেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান টিকা নেবেন মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও টিকা নেবেন গণটিকাদানের প্রথম দিন।