বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা নিচ্ছেন ঢাবি ভিসিসহ ২০ শিক্ষক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৪১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘পুরো বিশ্ব ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় যাচ্ছে, আমাদেরও যেতে হবে৷ ব্যক্তি, সমাজ ও জাতির সুরক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন। ধাপে ধাপে সকলেই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসবে।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকা প্রয়োগের প্রথম দিন টিকা নিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানসহ ২০ শিক্ষক।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার সকালে তারা টিকা নেবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামীকাল (রোববার) আমাদের ২০ জন শিক্ষক ভ্যাকসিন নেবেন। আমাদের শিক্ষকদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ।’

উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘পুরো বিশ্ব ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় যাচ্ছে, আমাদেরও যেতে হবে৷ ব্যক্তি, সমাজ ও জাতির সুরক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন। ধাপে ধাপে সকলেই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

গণটিকার প্রথম দিন টিকা নিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ রাষ্ট্রের ভিআইপিরা।

এদিন সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি টিকাকেন্দ্রে শুরু হবে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান। এ জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘গণটিকাদান শুরুর দিন ১ হাজার ১৫টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। এ জন্য ২ হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজধানীর ৬৫টি স্থানে টিকাদান হবে। এ ছাড়া সারা দেশের ৯৫৯টি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্ধারণ করা হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক টিকা নেবেন, তাদের মধ্যে আছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মো. সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরীও।

গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে রুনু ভেরোনিকা ডি কস্তাকে প্রয়োগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় টিকা প্রয়োগ

গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হলেও সারাদেশে একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ১০ দিন পর রোববার থেকে।

উদ্বোধনীর দিনের বিকেলে টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য চালু করা হয় ‘সুরক্ষা’ নামে একটি ওয়েবসাইট। এতে এরই মধ্যে নিবন্ধিত হয়েছেন পৌনে চার লাখ মানুষ।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রে গিয়েও নিবন্ধন করা যাবে। পাশাপাশি সারাদেশে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধীত করবেন।

করোনা প্রতিরোধী বেশ কিছু টিকার প্রয়োগ চলছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুতনিক, চীনের সিনোভ্যাক।

তবে বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে, ‘কোভিশিল্ড’ নামে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

এই টিকার ২০ লাখ ডোজ ঢাকাকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এ ছাড়া, এই টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনে আনছে বাংলাদেশ। গত মাসেই দেশে পৌঁছেছে কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান।

সব মিলিয়ে দেশে টিকা মজুত আছে ৭০ লাখ ডোজ। সারাদেশে প্রয়োগের জন্য ৬০ লাখ টিকা পাঠানো হয়েছে জেলায় জেলায়। হাতে রাখা হয়েছে ১০ লাখ ডোজ।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানের মতে, করোনামুক্ত থাকতে টিকাই শেষ কিছু নয়। করোনা ঝুঁকি এড়াতে টিকা নেয়ার পাশাপাশি মেনে চলতে হবে বিধিবিধানগুলোও।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন চূড়ান্ত কথা নয়। আমাদের মাস্ক পরিধান এবং নিয়মিত হাত ধৌত করতে হবে। পৃথিবী থেকে এই ভাইরাস নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের এই কাজগুলো চালিয়ে যেতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর