করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে গণটিকাদান শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সকাল ৯টায় ভার্চুয়ালি এ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। সকাল ১০টায় মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব এবং জনপ্রতিনিধিরাও এ দিন টিকা নেবেন।
গণটিকাদান কার্যক্রম বিষয়ে শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, প্রথম দিনে এক হাজার পাঁচটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। এ জন্য দুই হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাজধানীতে টিকা দেয়া হবে ৫০টি কেন্দ্রে। এ ছাড়া দেশের ৯৫৫টি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্ধারণ করা হয়েছে টিকা দিতে।
নিবন্ধনের পরও এসএমএস না পাওয়া নিয়ে আবুল বাশার বলেন, আজ রাতের মধ্যেই এসএমএস পেয়ে যাবেন। যদি না যায়, তারা পরবর্তীতে টিকা নেবেন।
গণটিকাদান নিয়ে রাজধানীর মহাখালীতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার। ছবি: নিউজবাংলা
প্রথম ধাপের টিকা দেয়া কবে শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এখানে প্রথম বা দ্বিতীয় ধাপ নেই। এটা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রথম ডোজ নেয়ার চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
কারা টিকা পাবেন না জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানান, করোনা-আক্রান্ত হওয়ার চার সপ্তাহ পার না হওয়া পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে না। যাদের অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা আছে তারাও টিকা পাবেন না। এ ছাড়া ১৮ বছরের নিচে, প্রসূতি এবং এখন যারা হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাদের টিকা দেয়া হবে না।
টিকা পেতে নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন তিন লাখ ৮০ লাখ ১৩ হাজার জন।
অনেক সাংবাদিক নিবন্ধন করতে পারছেন না জানালে অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান জানান, যেসব সাংবাদিক তাদের কাছে তালিকা দিয়েছেন, তারা নিবন্ধন করতে পারছেন। পর্যায়ক্রমে সবাই নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের অ্যাপ ‘সুরক্ষা’ এখনও গুগল প্লে স্টোরে না আসা নিয়ে তিনি বলেন, অ্যাপ নিয়ে গুগল অনেকগুলো শর্ত দিয়েছে। এগুলো পূরণ হলে অ্যাপ উন্মুক্ত করা হবে।