বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এ মাসেই ৬০ লাখ মানুষকে টিকা

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:২০

রোববার থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকাদান কার্যক্রম। শুরুর দিন টিকা দেয়া হবে ১ হাজার ১৫টি কেন্দ্রে। এ জন্য ২ হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রস্তুত করা হয়েছে।

দেশজুড়ে আগামীকাল রোববার করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকাদান শুরুর পর চলতি ফেব্রুয়ারিতেই ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ হাজারের বেশি টিকাদানকেন্দ্র।

গত ২৭ জানুয়ারি টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন বিকেলে টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য ‘সুরক্ষা’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হয়। তাতে নিবন্ধিত হচ্ছেন টিকা নিতে আগ্রহীরা।

সুরক্ষা ওয়েবসাইটে টিকা নিতে শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছে। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা নিতে আগ্রহীদের নিবন্ধনভুক্ত করারও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

গণটিকা দেয়া শুরুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।

শনিবার সকালে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘গণটিকাদান শুরুর দিন ১ হাজার ১৫টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। এ জন্য ২ হাজার ৪০২ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজধানীর ৬৫টি স্থানে টিকাদান হবে। এ ছাড়া সারা দেশের ৯৫৯টি হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্ধারণ করা হয়েছে।’

করোনা প্রতিরোধী বেশ কিছু টিকার প্রয়োগ চলছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, রাশিয়ার স্পুতনিক, চীনের সিনোভ্যাক।

তবে বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে, ‘কোভিশিল্ড’ নামে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

এই টিকার ২০ লাখ ডোজ ঢাকাকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এ ছাড়া, এই টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনে আনছে বাংলাদেশ। গত মাসেই দেশে পৌঁছেছে কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান।

অধ্যাপক মিজানুর বলেন, ‘সব মিলিয়ে দেশে টিকা মজুত আছে ৭০ লাখ ডোজ। এর মধ্যে ১০ লাখ ডোজ হাতে রেখে এদের মধ্যে ৬০ লাখ ডোজ টিকা এ মাসেই দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসেই টিকার দ্বিতীয় চালান ৫০ লাখ ডোজ পৌঁছবে।’

দেশব্যাপী করোনা টিকাদানের প্রস্তুতি দেখতে শনিবার বেলা ১১টার সময় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নাসিমা সুলতানা।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামীকাল গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, সে বিষয়ে আগে থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নীতিমালা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা দেখতেই আমি হাসপাতালে এসেছি, ব্যবস্থাপনা দেখে আমি সন্তুষ্ট।’

এ পর্যন্ত কতজন নিবন্ধন করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত ২ লাখ ৯৬ হাজার নিবন্ধন হয়েছে।

রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে করোনার টিকাদানকেন্দ্র পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক নাসিমা সুলতানা। ছবি: নিউজবাংলা

এখন পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের কারও ক্ষেত্রে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি জানিয়ে নাসিমা বলেন, ‘এ পর্যন্ত যারা টিকা গ্রহণ করেছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন এবং স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। কারও দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তাই আমি বলব, ভ্যাকসিন নিন সুস্থ থাকুন।’

২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ দিন পর শুরু হচ্ছে গণটিকাদান।

এ জন্য দেশের ৬১টি জেলায় করোনা টিকা আগেই পৌঁছানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আগেই জানানো হয়েছে।

প্রথম ধাপে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবীণ, জনপ্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টিকা দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছে সরকার।

বিশ্বের অনেক দেশ করোনার টিকা পাওয়া নিশ্চিত করতে না পারলেও এ ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে বাংলাদেশ।

ভারতের সিরাম থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা ছাড়াও বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে আন্তর্জাতিক জোট কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশ পৌনে ৭ কোটি ডোজ টিকা পাবে। সেখান থেকেও পাওয়া যাবে কোভিশিল্ড টিকা, যা আসবে চলতি বছরের জুন নাগাদ।

এ বিভাগের আরো খবর